প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের ওপর পুলিশের নির্যাতন অবৈধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই পুলিশ সদস্যদের বেতন থেকে সাংবাদিক মিজানকে কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি), বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), পটুয়াখালীর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সাহেব আলী পাঠান, বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ নরেশ চন্দ্র কর্মকার, অতিরিক্ত উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হালিম খান ও শফিকুল ইসলামকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক।
গত মঙ্গলবার রাতে জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়ার ল্যাংরা মুন্সির পোল এলাকায় হাতাহাতির ঘটনায় কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. হালিম খান বাদী হয়ে সাংবাদিক মিজানুরের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে মামলা করেন। ওই দিন রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থানায় নিয়ে নির্যাতনের পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।