আবারো সরকারকে সংলাপ ও আলোচনার পথে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এই নির্বাচন বলে দিয়েছে এদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ক্যালেন্ডার ছিঁড়ে গেছে। কবে এখানে গণতন্ত্র ফিরবে সেটা আমার জানা নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন মিলে এটা করেছে।
বি চৌধুরী বলেন, এই সরকার নির্বাচনের আগে বলেছিল এটা সংবিধান ও নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। আগামীতে সকলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন হবে।বিরোধী দলও সেটাকে মেনে নিল। অথচ তারা নির্বাচনের পর সুর পাল্টিয়ে স্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা করলো।
বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধের পরিস্থিতি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেন আলোচনা হবে না। সন্তু লারমার সঙ্গে যদি শান্তি আলোচনা করা যায় তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কেন নয়? এটা গণতন্ত্রের কোন গ্রামার?
তিনি বলেন, সমাধানের দুটি পথ ।একটি আলোচনা অপরটি হলো যুদ্ধ। যদি আলোচনা না করেন তবে কি যুদ্ধ করতে চান? সেটা ভালো হবে না।
মধ্যবর্তী নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে প্রধান করে আরেকটি নির্বাচন করা যেতে পারে। যেহেতু ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সংসদ সদস্যরা অবৈধ তাই এই নির্বাচন কালীন সরকারে তাদেরকে আনা যাবে না। এর আগের সংসদ সদস্যদের আনা যেতে পারে।
এসময় তিনি ৫ জানুয়ারির সংসদকে লেজেগোবোরে উল্লেখ করে বলেন, এই সংসদকে বিরোধী দলের ভাইস চেয়ারম্যান বিরোধী দলীয় নেত্রী আবার সেই দলের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।সেই দলের চেয়ারম্যান মাঝে মাঝে সরকারের বিরুদ্ধে চেতে যান। আবার স্ত্রী প্রশাংসা করেন। এটা কোন ধরণের তামাশা?
আন্দোলন অব্যহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যে আন্দোলন হয়েছে তা আমি পছন্দ করি না। আমি আগেও বলেছিলাম যেন আন্দোলন জনগণের বিরুদ্ধে অত্যাচার না হয়। তবে এই সরকারকে হটাতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, কোনোভাবে পিছিয়ে গেলে চলবে না।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, হিটলার, হালাকু এবং হাসিনার সঙ্গে অনেকটা মিল আছে। সবার নামের প্রথম অক্ষর এইচ। খুবই বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই শেখ হাসিনা গৃহযুদ্ধ চাচ্ছেন। তার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেবেন। তাতে যা কিছু করা দরকার সব করবেন। পরে তিনি বিদায় নেবেন।
তিনি বলেন, ঠাকুর মার ঝুলি গল্পে যেমন প্রতিদিন একটি করে হাতি ঘোড়া হরিয়ে যেত। ঠিক তেমনি আজ প্রতিদিন একটি করে নেতা হারিয়ে যাচ্ছে। এটা কে হারিয়ে দিচ্ছেন তা সবাই জানেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ।