রাজধানীর মতিঝিলে শিমু আক্তার হত্যার ঘটনায় আরো ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত রোববার দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সোমবার সকালে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। এর আগে গত শনিবার সকালে ফকিরাপুল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল নামের একজনকে আটক করে র্যাব-৩
গত ১০ মার্চ সকালে মতিঝিলের ফকিরাপুল পানির ট্যাঙ্কির পাশে উপবন হোটেলের পেছনে একটি চার তলা ভবনের ছাদে এক তরুণীর খণ্ডিত মাথা ও রক্তমাখা প্রিন্টের স্যালোয়ার কামিজ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে মাথা ও কাপড় উদ্ধার করে। এরপর ওই চারতলা ভবনের পাশে ওয়াসা স্টাফ মেসের টিনের চাল থেকে দেহটি, পাশের বাসার ছাদ থেকে হাত ও পায়ের দুটি অংশ। এছাড়া বাকি অংশগুলো ওই ভবনের নিচে একটি গলির মধ্যে রাস্তার ওপর থেকে উদ্ধার করে।
সেখানে টুকরাগুলো মিলিয়ে দেখা যায় ওই তরুনীকে হত্যার পর তার শরীর কেটে আটটি টুকরো করা হয়েছে। যার মধ্যে মাথা, দেহ, দুটি পা এবং দুটি হাতকে চারটি টুকরো করা হয়েছে। এর মধ্যে ডান হাতের কনুই থেকে কাধ পর্যন্ত অংশটুকু পাওয়া যায়নি। বাকি সাতটি অংশ পাওয়া গেছে। নিহত ওই তরুণীকে যাতে চেনা না যায় তার জন্য দুর্বৃত্তরা তার মুখ আগুনে পুড়িয়ে বিকৃত করে দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। উদ্ধারের তিন দিন পর পুলিশ নিহতের পরিচয় সনাক্ত করে জানায় তার নাম শিমু আক্তার। বাড়ি রাজশাহীতে।