পশ্চিমবঙ্গে সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ: বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত তৃণমূল সাংসদের

SHARE

obrayenভারতের পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাটে সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের  ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন৷

তার কথায়, ‘রানাঘাটের সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তের সহজ সংযোগ আছে৷’ তার মানে কি অপরাধীরা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে? না কি তারা বাংলাদেশ থেকে এসেছিল? ডেরেকের জবাব, ‘আমি এর বেশি কিছু বলব না৷ সিবিআই তদন্ত করছে৷ তারা এবার বলবে৷ শুধু একটা তথ্য, রানাঘাট থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ট্রেন চলে৷’

রানাঘাট থেকে গেদে সীমান্তের দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটার৷ রানাঘাট থেকে ভোর ৪.৪২ এবং ৫.৩০ নাগাদ গেদে সীমান্তগামী দু’টি ট্রেন আছে৷ যে সময় রানাঘাটের ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আসে, ততক্ষণে সেই দু’টি ট্রেনই রানাঘাট ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা৷ ডেরেকের ইঙ্গিত সম্ভবত সে দিকেই৷ ডেরেক ভৌগোলিক নৈকট্যের কথা বলা ছাড়া এ নিয়ে আর কোনও কথা বলতে না চাইলেও পুলিশ ও গোয়েন্দারা গোড়া থেকেই ইঙ্গিত করছিলেন দুষ্কৃতীরা ট্রেনে চড়ে চলে গিয়ে থাকতে পারে৷

এর মধ্যে এ দিন দিল্লিতে রটে যায়, ধর্ষিতা সন্ন্যাসিনীকে রাজধানী দিল্লিতে নেয়া হয়েছে৷ কিন্তু সে খবরের সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷ দিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কর্তৃপক্ষও এ নিয়ে কিছু বলেনি৷ এ দিন রাতেই জেসাস অ্যান্ড মেরির আন্তর্জাতিক প্রধান সিস্টার মোনিকা রোম ফিরে যান৷

সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘আমাদের মুখ লুকনোর জায়গা নেই৷ ওই সন্ন্যাসিনীকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়তে হল৷ তিনি কোথায় গেলেন, জানি না৷’ দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে সূর্যকান্ত দিল্লি এসেছেন৷

বাংলাদেশ-রানাঘাটের সংযোগ নিয়ে ডেরেকের ইঙ্গিত উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘রানাঘাট থেকে সীমান্ত যথেষ্ট দূরে৷ আর ওই যোগ তো অনেক আগে থেকেই আছে৷ কই, এতদিন তো কোনও ঘটনা ঘটেনি?’ তার মতে, ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের উস্কানিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে৷ রাজ্যে এখন আইন বলে কিছু নেই৷ বেআইনই এখন আইন৷ তাই এ রকম ঘটনা ঘটছে৷