রাজনৈতিক সংকটের কারণে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার শঙ্কা

SHARE

bbcস্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকে। রাজনৈতিক সংকটের কারণেই সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটকে আরো ঘণিভূত করতে পারে।

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের ১০৯তম পর্ব হয়। এ পর্বে অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এমপি, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব. মাহবুবুর রহমান, বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা ব্রতী’র প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার।

অনুষ্ঠানে এক দর্শক জানতে চান- চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হবে বলে কি আশা করা যায়?

উত্তরে আশরাফ কায়সার বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন কিন্তু দেশের রাজনৈতিক সমস্যাকে আরো ঘণিভূত করতে পারে। আর রাজনৈতিক সংকটের কারণেই সুষ্ঠু  নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এতে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকে।

শারমিন মুরশিদ বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয়করণ করাও কিন্তু একটা সমস্যা।”

সিটি কর্পোরেশেনের নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি তাদের পুনর্গঠনের এবং মূলধারায় আসার একটি সুযোগ হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

মাহবুবুর রহমান বলেন, “জাতি আজ অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটে।এই সংকট থেকে উত্তরনের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের মূল ফোকাস হওয়া উচিত জাতীয় নির্বাচনের জন্য।”

তিনি বলেন, “এ নির্বাচনের মতো বিএনপি সব সুযোগই নিতে চায়। তবে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পূর্বশর্তগুলো পূরণ করতে হবে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হবে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।”

কামরুল ইসলাম বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনে কিন্তু বিএনপি ভালো করেছে। এর আগের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতেও তারা ভালো করেছে।”

এবারের সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডই নিশ্চিত হবে দাবি করে তিনি বলেন, “জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি বন্ধ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে সুষ্ঠুভাবেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।”

জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন থেকে বের হওয়ার একটি নিরাপদ রাস্তা এটি। বিএনপির গ্রহণ করা উচিত বলে মত দেন খাদ্যমন্ত্রী।

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানটির প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন। বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন এবং বিবিসি বাংলার যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। এতে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষয়ে দর্শকরা সরাসরি আলোচকদের কাছে প্রশ্ন বা মতামত দিতে পারেন।