লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বালাইশপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে পুলিশ-সন্ত্রাসী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবদলের নেতা ও যুবলীগের কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ ওই দুই নেতা-কর্মী হলেন সদর উপজলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিরন হোসেন ও যুবলীগের কর্মী মাইদুল রহমান রুবেল।
গুলিবিদ্ধ কিরন হোসেন ও মাইদুল ইসলাম রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার জাহানাবাদ এলাকা থেকে একাধিক মামলার আসামি কিরন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে একই উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার থেকে মাইদুল ইসলাম রুবেলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের নিয়ে শুক্রবার রাতে বালাইশপুর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
বন্দুকযুদ্ধে কিরন হোসেন ও মাইদুল ইসলাম রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ কিরন হোসেন একই উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে এবং মাইদুল ইসলাম রুবেল একই উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদৌহিদা গ্রামের অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান জানান, কিরন ও মাইদুল একাধিক মামলার আসামি। তাদের দুজনকে নিয়ে রাতে অস্ত্র উদ্ধার বালাইশপুর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় লাদেন বাহিনীর সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। তবে কিরন হোসেন লাদেন বাহিনীর সদস্য ও মাইদুল ইসলাম রুবেল নাছির বাহিনীর সদস্য বলে জানান তিনি।