১০ ডিসেম্বর বিএনপির পরাজয় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

SHARE

বিজয়ের মাসে পাকবাহিনীর মতোই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির পরাজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রমনা থেকে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। শোভাযাত্রা থেকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নয়াপল্টনে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে ঘোষণা দিয়ে শেষে গোলাপবাগের গরুর হাটে ৫০ হাজার লোকের সমাবেশ করেছে, সরকারকে পদত্যাগ করাতে এসে নিজেরাই পদত্যাগ করে চলে গেছে। এভাবে ১০ ডিসেম্বর তাদের বড় পরাজয় হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব অপশক্তিকে অবদমিত করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাওয়াই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রত্যয়।

শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫১ বছর: আলোচনা ও সাংস্কৃতিক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির পরাজয় হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ইতিহাসের দিকে দিকপাত করে হাছান মাহমুদ বলেন, পাকবাহিনীর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে যাওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ভস্ম থেকে পুনর্গঠন করে বঙ্গবন্ধু যখন সমৃদ্ধির পথে আগুয়ান, তখনই তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশে যে সাড়ে নয় শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল, তা আমরা আজও ছুঁতে পারিনি। তখন দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর আমাদের পেছনে ছিল। আজ বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার জেগে উঠেছে, বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংরক্ষণ করার জন্য চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের তৎকালীন কর্মরতদের অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানান।

তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা রূপে গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।