ভারতের নাগাল্যান্ডে জেল ভেঙে মুসলিম যুবক হত্যার ষড়যন্ত্রের কথা আগে থেকেই জানাতেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সব জেনেও গগৈ কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ করেছেন আসামের ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের বিধায়ক সিদ্দিক আহমেদ।
এই অভিযোগ নিয়ে সোমবার আসাম বিধানসভা উত্তাল উয়ে ওঠে। বিধানসভার অধিবেশনে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ-এর তীব্র সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলো। বিরাধী বিধায়করা বলেন, সিদ্দিকের কথা সত্যি হলে, মুখ্যমন্ত্রী কেন ব্যবস্থা নেননি? গগৈ তখন বিধানসভায় ছিলেন না।
আসাম বিধান সভার স্পিকার প্রণব গগৈ বলেন, “এ নিয়ে কেন্দ্র তদন্ত করুক। বিধায়ক সত্যি বলে থাকলে তিনি কীভাবে আগে জেল ভাঙার বিষয়টি জানলেন? মিথ্যা বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
সোমবার সিদ্দিক বলেছিলেন, “জেল ভেঙে শরিফুদ্দিনকে বের করে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেয়ার ষড়যন্ত্রের কথা বারবার মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। তিনি সময়মতো ব্যবস্থা নিলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।”
সিদ্দিক বলেন, “ঘটনার আগের দিন ডিমাপুরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তখনই মুখ্যমন্ত্রীকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাই।” সিদ্দেকের সঙ্গে কথা হওয়ার বিষয়টি মেনেছেন গগৈ। তবে তিনি জানান, জেল ভাঙা হবে এমন কোনো তথ্য সিদ্দিক তাকে দেননি।
প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর সেন্ট্রাল জেল ভেঙে বাইরে এনে বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার স্থানীয় নাগা আদিবাসী কথিত ধর্ষণ ও বাংলাদেশী নাগরিক অভিযোগে সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন খান (২৭) নামের এক বাঙালি মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে।