স্থলসীমান্ত ও তিস্তা চুক্তিতে মোদির পাশে মমতা

SHARE

modi momtaবাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়েও তিনি সহযোগিতা করবেন বলে ঢাকা সফর শেষে মোদিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের পর ওই চুক্তি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা আরো কিছুটা উজ্জ্বল হলো বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তিসংক্রান্ত বিল যাতে দ্রুত সংসদে পাস করানো সম্ভব হয়, সে ব্যাপারে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, ওই বিল পাসের ক্ষেত্রে রাজ্যসভায় সরকারকে কক্ষ সমন্বয়ের ব্যাপারে সব রকম সহযোগিতা করবে তৃণমূল।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, চলতি বাজেট অধিবেশনেই সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাস করিয়ে নিতে। সেটা সম্ভব হলে এপ্রিলের মধ্যেই বাংলাদেশে যেতে চান মোদি।

সূত্রের খবর, ওই সফরে মমতাকেও সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি তাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা চুক্তিটি বাস্তবায়নের প্রশ্নে তৃণমূলের সমর্থন, নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের বাংলাদেশ-নীতিকে শক্তিশালী করবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ যথেষ্ট গুরুত্ব পেলেও ঠিক কী কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে বিশদ কিছু বলতে চাননি মমতা। শুধু জানিয়েছেন, তার ঢাকা সফরের বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। তিস্তার পানি বণ্টন ও স্থলসীমান্ত চুক্তির মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দিল্লি আসার আগেই যে তিনি এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন, সে কথাও সাংবাদিকদের জানান মমতা।

গত মাসে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে মমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন, তিনি তিস্তা চুক্তির প্রশ্নে ইতিবাচক পদক্ষেপই করতে চান। তবে বিষয়টি নিয়ে যে তাড়াহুড়ো করতে চান না, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন।

তবে স্থলসীমান্ত চুক্তিটি যাতে দ্রুত বাস্তবায়িত হয়, সে ব্যাপার মমতা সক্রিয় ভূমিকা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন হাসিনাকে। এ দুটি বিষয়ে মমতা তার মনোভাব মোদিকেও জানিয়েছেন।

স্থলসীমান্ত চুক্তির পথে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অবশ্য আসামের বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই চুক্তি জাতীয় স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরি।

কেন্দ্র ইতিমধ্যেই মনস্থির করে ফেলেছে এ ব্যাপারে। আসাম বিজেপির নেতাদেরই উচিত নিজেদের এলাকায় গিয়ে এই চুক্তির তাৎপর্য মানুষকে বোঝানো।– আনন্দবাজার।