নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা দেখিয়ে মেয়েটির পরিবারের কাছে প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি ও পরবর্তীতে ভিডিও চিত্রটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম সোহেল। সে গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে।
রোববার সোহেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন মেয়েটির মা।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, গোপালদীর একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিল সোহেল। তাতে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২২ আগষ্ট স্কুলে যাওয়ার সময় মেয়েটিকে কৌশলে একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে সোহেল। ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে রাখে সে। পরে ভিডিও দেখিয়ে মেয়েটিকে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সোহেল। দুই মাস আগে মেয়েটির মাকে ফোন করে নগদ ১০ লাখ টাকা ও মেয়েটিকে তার কাছে পাঠাতে বলে সোহেল। নইলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় সে। মেয়ের মা ভিডিওটি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সোহেল সম্প্রতি সেই ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দেয়। ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা।
পুলিশ জানিয়েছে, সোহেল পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।