বলিউডের নিষিদ্ধ ১০ ছবি

SHARE

bannedনিষিদ্ধের প্রতিই যেন মানুষের কৌতুহল বেশি থাকে। তাই সেন্সর বোর্ডে আটকে যাওয়া ছবিগুলো তন্ন তন্ন করে খুঁজতে থাকে কৌতুহলী দর্শক। এ কারণে বলিউডে নিষিদ্ধ হওয়া ছবিগুলোও ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনে সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বলিউডের এমন কয়েকটা ছবি একটা সময় সমাজে বিতর্কের ঝড় তুলেছিল৷ সেই সমস্ত ছবিকে দিনের আলো দেখা নিষিদ্ধ করেছিল সেন্সর বোর্ড৷ কিন্তু সেই ছবিগুলিই আজও মানুষের মনে রয়ে গেছে। এখনও ইউটিউব, গুগলে দর্শকরা খুঁজে বেড়ায় সেই ছবিগুলো। এসব ছবির মধ্যে অনেকগুলোই আবার পরবর্তীতে নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়।

আসুন দেখে নেওয়া যাক, বলিউডের এমন ১০টি ছবি যা সেন্সর বোর্ডের চৌকাঠ মাড়িয়ে আলোর মুখ দেখেনি:
১. আঁধি:  দেশে জরুরি অবস্থার সময় মুক্তি পাওয়া আরও একটি বিতর্কিত ছবি হল আঁধি৷পরিচালক গুলজারের এই ছবিটিও তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে তৈরি৷সাফল্যের সঙ্গে ২০ সপ্তাহ চলার পর এই ছবিটিও নিষিদ্ধ করা হয় কংগ্রেস সরকারের নির্দেশে৷পরে ছবিটি ২৩তম ফিল্মফেয়ার ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ড-এ সেরা ছবি হিসাবে মনোনীত হয়েছিল৷

২. দ্য ব্যানডিট কুইন: পরিচালক শেখর কাপুর নির্মীত এই ছবির গল্পে ফুলন দেবীর জীবন তুলে ধরা হয়েছিল৷ সেন্সর বোর্ড ভাবতেও পারেনি যে, ভারতীয় দর্শকের কাছে ছবিটি এতখানি গ্রহণযোগ্য হবে৷ছবিতে সেক্সুয়াল কনটেন্ট, নুড্যিটি এবং কিছু অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহারের জন্য দ্য ব্যানডিট কুইনের মতো একটা ব্রিলিয়ান্ট সিনেমাকে সেন্সর বোর্ড নিষিদ্ধ করে৷ কিন্তু ছবিটিতে বিতর্কের মাত্রা যোগ করেন ফুলন দেবী স্বয়ং৷ ফুলন দেবীর অভিযোগ ছিল, তাঁর জীবনের বেশ কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য বিকৃত করা হয়েছে৷

৩. ফায়ার: ১৯৯৬ সালে শাবানা আজমি এবং নন্দিতা দাস অভিনীত এই ছবিটিকেও নিষিদ্ধ করেছিল সেন্সর বোর্ড৷দীপা মেহতা পরিচালিত এই ছবিতে ভারতীয় হিন্দু পরিবারের দুই সমকামী নারীর চরিত্র তুলে ধরা হয়েছিল৷

৪. কামসূত্র, আ টেল অফ লাভ: পুরোপুরি সেক্সুয়াল কনটেন্ট নিয়ে নির্মিত পরিচালক মীরা নায়ারের এই ছবিটিও নিষিদ্ধ করেছিল সেন্সর বোর্ড৷

৫. পাঞ্চ: ১৯৯৭-তে যোশী-অভয়ঙ্কর সিরিয়াল মার্ডারের ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছিল পাঞ্চ৷ অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত ছবিতে অতিরিক্ত হিংসা, ড্রাগ এবং অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহারের জন্য ছবিটি নিষিদ্ধ করে সেন্সর বোর্ড৷

৬. ব্ল্যাক ফ্রাইডে: ১৯৯৩-তে মুম্বাইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা ছিল এই  ডকুফিচার ছবিটির মূল বিষয়বস্তু৷ নিষিদ্ধ হওয়ার দু’বছর বাদে ছবিটি সারা দেশে মুক্তি পায়৷

৭. পারজানিয়া: এই ছবিটি ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে নির্মীত হয়েছিল৷ দুবার ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড মিললেও গুজরাট সরকার ছবিটির স্ক্রিনিং নিষিদ্ধ করে৷

৮. সিনস: এক যুবতীর সঙ্গে যৌনসম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কেরলের এক পাদ্রি এবং সম্পর্কটা তিনি সমাজের থেকে লুকাতে চান৷ ছবিতে নুড্যিটি দেখানোয় সিনসকে নিষিদ্ধ করে সেন্সর বোর্ড৷

৯. ওয়াটার: দীপা মেহতা পরিচালিত এই সিনেমায় বেনারসের কিছু আশ্রমের বিধবা মহিলাদের অসহায়তার ছবি দেখানো হয়৷ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি এই ছবি নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং সিনেমার সেট পর্যন্ত নষ্ট করে দেয়৷ ছবিটি পরে রিভার মুন নামে মুক্তি পায়৷

১০. ফিরাক:  গুজরাট দাঙ্গা নিয়েই মুলত এই ছবির গল্প৷ পরিচালক নন্দিতা দাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ধর্মীয় সেন্টিমেন্টে আঘাত করেছেন৷ যার ফলস্বরূপ গুজরাটে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়ে যায়।