রংপুরে সোনালী ব্যাংকে ককটেল নিক্ষেপ

SHARE

cocktel5২০ দলের টানা অবরোধের ৫৬তম এবং পঞ্চম দফা হরতালের তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সোনালী ব্যাংক লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছে। এ সময় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো নগরীতে।

এ ছাড়াও সোমবার রাতে একটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটটি ককটেল উদ্ধার এবং নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে শিবির বিক্ষোভ করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা রংপুর মহানগরীর স্টেশন রোডের সোনালী ব্যাংক কপোরেট শাখার উত্তর পাশের রাস্তা থেকে পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। ককটেল দুটি ব্যাংকের সাইকেল গ্যারেজে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আশপাশের দোকানিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, জীবনবীমা করপোরেশনের মোড় থেকে থানা যাওয়ার রোড থেকে দুর্বৃত্তরা ককটেল দুটি ছুড়ে পালিয়ে যায়। ব্যাংকসহ রংপুরের সব স্থাপনায় অতিরিক্তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় নগরীর কামারপাড়ায় মাহিন ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছাত্রবাসের মালিক আকবর আলীসহ  কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় একটি রুম থেকে আটটি ককটেলও উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, আটককৃতরা জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নাশকতা সৃষ্টির জন্য ককটেলগুলো সেখানে মজুদ করা হয়েছিল।

রংপুর পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মাজেদুল ইসলাম জানান,  সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পুলিশ কোতয়ালী থেকে ১৬ বিএনপি, পীরগাছা থেকে এক বিএনপি এবং মিঠাপুকুর থেকে দুই জামায়াত শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগ আছে।

এদিকে সকালে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগাছায় বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এছাড়া কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে হরতালের মধ্যে নগরীর অধিকাংশ দোকানপাট খোলা ছিল। মহাসড়কে বিজিবি ও পুলিশ পাহারায় পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল করেছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।