সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তর থেকে মেয়র প্রার্থী হবেন চিত্রনায়ক ফারুক। ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়েই মেয়র প্রার্থী হবেন ফারুক। ১৯৬২ এর ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণআন্দোলন, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা-যুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন ফারুক।
দলের একটি অংশ চায় মেয়র পদে দল থেকে ফারুককে মনোনয়ন দিয়ে তার কর্মের মূল্যায়ন এবং তাকে দেশ সেবার সুযোগ দেওয়া হোক।
এ ব্যাপারে ফারুক বলেন, উদ্বেগের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, দল আমাকে আজ পর্যন্ত মূল্যায়ন করেনি। অনেক আগেই সিটি মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করি। কিন্তু দল এখন বাইরের লোককে গুরুত্ব দিচ্ছে। আসলে দল হয়তো বুঝতেই পারছে না সংগঠনের জন্য কে কি ভূমিকা রেখেছে। তাই ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে বাইরের লোককে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছে। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কূটবুদ্ধির কারণেই এটি হচ্ছে। তারা দলকে মিসগাইড করছে।
ফারুক বলেন, আট বছর বয়স থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত। বঙ্গবন্ধু আমাকে স্নেহ করতেন। ছাত্রজীবনে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেই। দল এবং চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ও আমার মতো অনেক ত্যাগী কর্মীর খোঁজ রাখেন না। একুশে পদক আমার প্রাপ্য। তাও পেলাম না। এখন নিজের মূল্যায়ন নিজেকেই আদায় করতে হবে। জনগণ ও দলের লোকজন আমাকে চায়। তাই আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে নির্বাচন করব। ফারুক বলেন, দল মনোনয়ন না দিলেও নির্বাচনে প্রার্থী হব। আওয়ামী লীগ আমাকে মূল্যায়ন না করলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই দল আমি ছাড়ব না। দলটি হচ্ছে আমার ঘর। ঘর ছাড়ার প্রশ্নই আসে না।