নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় চার বছরের এক শিশুকে পানিতে চুবিয়ে শিশুটির সৎ মা হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত শিশুর নাম মরিয়ম। অভিযুক্ত সৎ মায়ের নাম নিলুফা বেগম (২৬)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিলুফাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের চম্পকনগর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আড়াইহাজার থানার এসআই তানভীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ বছর আগে চম্পকনগর গ্রামের নিলুফার সঙ্গে ময়মনসিংহের সুলতান মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর নিলুফা জানতে পারেন, সুলতানের আরো একজন স্ত্রী ও ২ কন্যা সন্তান রয়েছে। এ নিয়ে স্বামী ও সতীনের সঙ্গে বিরোধ ছিল নিলুফার। ২ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার যাত্রবাড়ীতে বসবাস শুরু করেন সুলতান। এর মধ্যে নিলুফা জমজ দুটি ছেলের মা হয়েছেন।
হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এসআই তানভীর জানান, ঘটনার আগের দিন নিলুফা তার সৎ মেয়েদের নিয়ে লুকিয়ে নিজগ্রাম আড়াইহাজার উপজেলার চম্পকনগরে আসেন। পরে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে মরিয়মকে এলাকার জাঙ্গালিয়া ব্রিজের নিচে নিয়ে আসেন নিলুফা। তারপর পানিতে চুবিয়ে শ্বাসরোধ করে মরিয়মকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে নিলুফা বাড়ি ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার মরিয়মের মরদেহ নদীতে ভেসে ওঠে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিলুফা করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিলুফা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। নিলুফার দাবি, ৭/৮ মাস আগে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্মের একদিন পরই জ্বরের ওষুধের কথা বলে বিষ খাইয়ে সেই সন্তানটিকে সতীন সাহিদা হত্যা করেন। সেই প্রতিশোধ নিতেই তিনি মরিয়মকে হত্যা করেছেন।
এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় নিলুফার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।