নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ২১ ঘণ্টা পর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে র্যাব সদস্যরা তাকে গুলশান থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিদ্রোহে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় মান্না ছাড়াও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মান্নার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৩১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এসআই সোহেল রানা মামলাটির বাদী। মামলায় গতকাল সন্ধ্যায় মান্নাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। থানায় হস্তান্তরের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার তাকে আদালতে নেওয়া হবে।
গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বনানীর একটি বাসা থেকে মান্নাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে একটি দল তাকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। পরিবারের লোকজন গতকাল দিনভর খোঁজ করেও জানতে পারেননি, তিনি কোথায় ছিলেন, কেমন ছিলেন।
এদিকে পুলিশের রমনা, মতিঝিল ও গুলশান বিভাগের ১১ থানায় মান্নার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, নাশকতা, লাশ ফেলাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে পুলিশ ২৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। আর পরিবারের পক্ষ থেকে মান্নাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বনানী থানায় একটি জিডি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির নেতা সাদেক হোসেন খোকা এবং অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে মান্নার কথোপকথন নিয়ে গত সোমবার আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।