মান্নাকে আটক এবং অস্বীকার গভীর ষড়যন্ত্র

SHARE

nagorik okkoনাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার এবং অস্বীকার করার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য ইফতেখার আহমেদ বাবু।

তিনি বলেন, সবাই জানে গত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বনানীতে অবস্থিত মান্নার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। অথচ এখন তার আটকের বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে।

গণতন্ত্রের দাবিতে মান্না আন্দোলনে তৎপর ছিলেন উল্লেখ করে ইফতেখার বলেন, আমরা কখনো সন্ত্রাস-সহিংসতা সমর্থন করি না। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জনগণকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছি। দেশে ছাত্ররা সব সময়ই আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

দেশের বর্তমান অবস্থায় ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত ও বিস্তৃত করতেই মান্না কথা বলছিলেন। কিন্তু বক্তব্যটি বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করে তার বিরুদ্ধে লাশ চাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব নিয়েও পরিস্থিতি ঘোলা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় চলমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করতেই মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে সবার সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। এর সঙ্গে এক এগারো বা অন্য কোনো যড়যন্ত্রের আবিষ্কার দূরভিসন্ধিমূলক। কথোপকথনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতেই আজকে মান্না সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন, কিন্তু তাকে সে সুযোগ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, কেউ রাষ্ট্রবিরোধী কথা বললে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।  কিন্তু তা প্রকাশ করে একজন মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে বলে মনে করি।

মান্না রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কথা বলেননি বলেও দাবি করেন ইফতেখার আহমেদ।

মান্নার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ ও তার আশু মুক্তি দাবি করেন তিনি। এ বিষয়ে সকল গণতন্ত্রমনা ব্যক্তি, শক্তি ও দলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

মান্নার পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া বা কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মান্নার পরিবার সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেছে। এ ছাড়া এ বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী কর্মসূচি দেব এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।