ডিভোর্স ঠেকাতে নিয়ম বদলাচ্ছে চীনা সেনাবাহিনী

SHARE

china armyদেশের নিরাপত্তার ভার তাদের হাতে। সে জন্যই পরিবারকে ছেড়ে দিনের পর দিন পড়ে থাকতে হয় সেনা ছাউনিতে। কিন্তু একটা সময়ের পর সে দূরত্ব বৈবাহিক সম্পর্কে ছাপ ফেলতে শুরু করে। অতঃপর বিবাহবিচ্ছেদ। চীনা সেনাবাহিনীর ‘নন কমিশনড অফিসারদের’ (এনসিও) মধ্যে এই হার বাড়ছিল। তা রুখতে এ বার সক্রিয় হয়েছেন সেনা-কর্তৃপক্ষই। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে পরিবারকে সেনা ছাউনিতে এনে রাখা যাবে বলে এনসিও-দের অনুমতি দিয়েছেন তারা।

এর আগে শুধু উচ্চপদস্থ অফিসাররাই এই সুযোগ পেতেন। এনসিও-দের জন্য এমন কোনো সুযোগ ছিল না। তা হলে হঠাৎ এমন অনুমতি এলো কেন? প্রথা মেনে কোনো সমীক্ষা না করা হলেও বেশ কিছু দিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল, সেনা অফিসারদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার বাড়ছে। আর তাতে যে তাদের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, চিড় ধরতে পারে মনোবলে সে কথাও আঁচ করছিলেন কর্তৃপক্ষ। সে সব ঠেকাতেই কর্তৃপক্ষ এনসিও-দের অনুমতি দিয়েছেন, উৎসবের মরসুমে পরিবারকে কাছে এনে রাখা যাবে।

তবে এর আর একটা দিক রয়েছে বলেও মনে করছেন চীনের গণমুক্তি ফৌজের বেশ কিছু সদস্য। তাদের যুক্তি, সেনাবাহিনীর মধ্যে কাজের উৎসাহ কী ভাবে বাড়ানো যায়, সে নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তখন আরও একটি তথ্য নজরে আসে। তা হলো, গত দু’দশকে চীনা সেনাবাহিনী প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগোলেও সেই উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার মতো উপযুক্ত সদস্য জোগাড় করতে পারেনি। অন্যান্য কারণের পাশাপাশি যার একটা কারণ পরিবার থেকে দূরে থাকাও। সেই সমস্যা যাতে আংশিক ভাবে কমানো যায়, সেই ভেবেই নতুন অনুমতি জারি করা হয়েছে।

অতশত ব্যাখ্যা অবশ্য বুঝতে চান না ‘টুয়েলথ আর্মি গ্রুপ’-এর প্রবীণ এনসিও ওয়াং শিনতাও। তার বয়ানে, “হঠাৎ করে এক টুকরো আনন্দ পেয়ে দারুণ লাগছে।” এবার স্ত্রী-র সঙ্গে বর্ষশুরুর আনন্দ-উৎসব করতে পারবেন তিনি। আর এক এনসিও-র বয়ানে, “উচ্চপদস্থ সেনা কর্তাদের জন্য এটা হয়তো কিছুই নয়। আমাদের জন্য এটা বিশাল ব্যাপার।”