আমিরাতকে ৪ উইকেটে হারাল জিম্বাবুয়ে

SHARE

zimbabuরান প্রসবা নিউজল্যান্ডের নেলসন স্টেডিয়াম হয়ে পড়েছে বড় দলগুলোর বধ্যভূমি। আইরিশদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বধ দিয়ে শুরু হয়েছিল যেই শিকার কাব্য।

এবার আইসিসি সহযোগী দেশ আরব আমিরাতও প্রায় শিকার করে ফেলেছিল জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি ২০ বছর পর বিশ্বকাপ আসা আমিরাত। তবে এলটন চিগুম্বুরার দলের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছে আমিরাত।

বৃহস্পতিবার নেলসনে আরব আমিরাতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। এবার বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের এটি প্রথম জয়। প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ২৮৫ রানের বড় স্কোর গড়ে আমিরাত। জবাবে ১২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে ম্যাচ জিতে নেয় জিম্বাবুয়ে। শন উইলিয়ামস ম্যাচ সেরা হন।

অপেক্ষাকৃত র্দুবল আমিরাত হলেও ২৮৬ রানের টার্গেটটা সহজ ছিল না জিম্বাবুয়ের জন্য। কঠিন পরীক্ষার শুরুটা অবশ্য জিম্বাবুয়ে ভালোভাবেই করেছিল।

সিকান্দার রাজা, রেজিস চাকাভা ৬৪ রানের জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে। সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু এনে দেন আমিরাত অধিনায়ক মোহাম্মদ তৌকির। সিকান্দার রাজা ৪৪ বলে ৪৫ রান (৬ চার, ১ ছয়) করেন। ইনফর্ম হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এক রানেই এলবির ফাঁদে ফেলেছেন আমজাদ জাবেদ। কিছুটা ধীরলয়ে খেলা চাকাভাও তৌকিরের শিকার হন। তিনি ৩৫ রান করেন।

ব্রেন্ডন টেইলরকে হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন নাসির আজিজ। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে টেইলর ৪৪ বলে ৪৭ রান করেন। মোহাম্মদ নাবিদের বলে মিরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে ১৬৭ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে ষষ্ঠ উইকেটে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন।

তারা ৮৩ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন আমিরাতকে। আরভিনকে অবশ্য ফিরিয়েছিলেন কৃষ্ণ। আরভিন ৪২ রান করেন।

শেষদিকে অধিনায়ক চিগুম্বুরাকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন শন উইলিয়ামস। তিনি ৬৫ বলে ৭৬ রানের (৭ চার, ১ ছয়) অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। চিগুম্বুরা অপরাজিত ১৪ রান করেন। আমিরাতের তৌকির নেন ২ উইকেট।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানেই দুই উইকেট হারিয়েছিল আমিরাত। আমজাদকে (৭) চাতারা, বেরেনজারকে (২২) ফেরান মিরে। তৃতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়েন খুররাম খান ও কৃষ্ণ চন্দ্র। ৩৪ রান করা কৃষ্ণকে চিগুম্বুরার ক্যাচে পরিণত করে জুটি ভাঙেন মিরে। সঙ্গীর বিদায়ের পর খুররামও ফিরে যান। তিনি ৪৫ রান করেন।

পঞ্চম উইকেট জুটিতেও ৮২ রানের জুটি গড়েন স্বপ্নীল পাতিল ও শাইমন আনোয়ার। স্বপ্নীল ৩৮ রান করে ফিরলেও শাইমন আনোয়ার ছিলেন আক্রমণাত্মক। তার ৫০ বলে ৬৭ রানের (৯ চার, ১ ছয়) ইনিংসেই বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় আমিরাত।

শেষদিকে আমজাদ জাবেদ ১৯ বলে ২৫, মোহাম্মদ নাবিদ ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। জিম্বাবুয়ের চাতারা ৩টি, মিরে-শন উইলিয়ামস ২টি করে উইকেট পান