পর্যটন শিল্পে চলতি মৌসুমে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে পর্যটন শিল্পকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রেখে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে এ শিল্পকে রক্ষা করার দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টোয়াবের সভাপতি প্রফেসর ড. আকবর উদ্দিন এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, “সাধারণত শীতকালেই পর্যটনের প্রধান মৌসুম চলে। কিন্তু তিন বছর ধরেই এই মৌসুমে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা ভুক্তভোগী। শুধুমাত্র এ মৌসুমেই প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে তাদেরকে ঋণ পরিশোধেও তাড়া দেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক সমস্যার মাসুল আমরা কেন এভাবে দিয়ে যাব?”
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা হারাচ্ছি না, বহির্বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে মন্তব্য করে এ শিল্পকে রক্ষা করার দাবি জানান টোয়াবের সিইও মো. আক্তারুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, “ট্যুরিজম যে একটা শিল্প এবং এর উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে এটা এখনও সরকার বুঝতে চেষ্টা করছে না। তারা এখনও গার্মেন্ট গার্মেন্টস করছে। ট্যুরিজমই একমাত্র শিল্প যেখানে আমদানি করলে অর্থ দিতে হয় না, বরং বিদেশীরা এসে অর্থ দিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি আকবর উদ্দিন আহমাদ পর্যটন শিল্পকে রক্ষায় এগার দফা দাবি তুলে ধরেন।
অন্যতম দাবিগুলোর হলো- ট্যুরিস্ট জোনগুলো এবং পর্যটন পরিবহন হরতাল অবরোধের আওতামুক্তসহ সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে রাখা; ট্যুরিস্ট এলাকাগুলো নিরাপত্তা বাহিনীর আওতায় আনা; পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ অন্যান্য এলাকা ভ্রমনের জন্য আগের নিয়মানুসারে ডিসি থেকে অনুমতি বহাল রাখতে হবে।
ট্যুর অপারেটরদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার থেকে নানাবিধ স্কিম প্রদান; এ শিল্পকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা এবং ট্যুর অপারেটরদের সহয শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, মো. হাফিজুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং সংহঠনের উপদেষ্টা মো. হাকিম আলী প্রমুখ।