বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নেতাকর্মী থেকে দূরে রাখতে সরকার নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্যসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এমন অভিযোগ করে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, “জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে পুলিশি প্রটোকল, অস্ত্র, গুলি কোনো কিছুই কাজে আসবে না।”
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে খাবার প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা তুলে নেয়ার দাবি জানান আব্বাস-সোহেল।
খালেদা জিয়ার কার্যাকলয়ের সামনে নেতাকর্মী নিয়ে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিল সমাবেশ করার নিন্দা জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, “সরকারের নৌমন্ত্রীর ভাড়াটে কিছু লোকজন হাজির করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয় ঘেরাও করতে চেয়েছেন। আমরা মনে করি, সরকারের উপরের মহলের নির্দেশে নৌ মন্ত্রীর এই কর্মসূচি চরম উস্কানিমূলক। খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে কার্যালয় ঘেরাওয়ের চেষ্টা হয়েছে।”
নেতৃদ্বয় বলেন, “শাহজাহান খান ঘেরাও কর্মসূচির নামে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করার হুমকি দিয়ে চরম দুঃসাহস দেখিয়েছেন। শিগগিরই গণতন্ত্রকামী জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তার এই হুমকির সমুচিত জবাব দেবে।”
খালেদা জিয়াকে নিয়ে শনিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, “বিএনপি পেট্রলবোমার এই ঘৃণ্য রাজনীতি কোনোদিনই করেনি, আগামীতেও করবেও না। স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকারই বোমার রাজনীতি করছে। হরতাল-অবরোধ চলাকালে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ককটেল ও পেট্রলবোমাসহ গ্রেফতার হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, কারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত।”
নেতৃদ্বয় বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আন্দোলন দমনের নামে দেশজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছেন। ”
চলমান আন্দোলনে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত নেতৃদ্বয় বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে যেতে ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।