তাজুলসহ জামায়াতের ৬ নেতার আদেশ ৩ মার্চ

SHARE

tajul16আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে মন্তব্য করায় অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ জামায়াত-শিবিরের ছয় নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা রুলের পরবর্তী আদেশের জন্য ৩ মার্চ ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আদেশের জন্য এ দিন ঠিক করেন।

আদালতে জামায়াত নেতাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তানিম ও তাজুল ইসলামের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে তাজুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল লিখিত জবাব দাখিল করেন।

জেয়াদ-আল-মালুম জানান, তাজুল ইসলাম আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। আর জামায়াত নেতারা জবাবের জন্য সময় চেয়েছেন।

গত ১২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় নিয়ে মন্তব্য করায় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, শিবিরের সভাপতি আবদুল জব্বার ও জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ ছয়জনকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) দেন আদালত।

অন্য তিনজন হলেন জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ও ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান।

ওই দিন শোকজ নোটিশে ‘কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না’ এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদ-ের রায় দেওয়ার পর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন ‘ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছে সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো। এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ফাঁসি তো দূরের কথা প্রসিকিউশনের জরিমানা করা হলে ভালো হতো।’