শনিবার সকাল থেকে মোবাইল, মডেমে নেটওয়ার্ক পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত সাংবাদিকরা। রোববার দুপুরে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ সমস্যা অব্যহত রয়েছে।
শুক্রবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুৎ, ডিশ ও ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেয়া হয়। এরপর থেকেই গুলশানের বিএনপি অফিসের এই এলাকায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছেনা।তবে কার্যােলয় থেকে একটু দূরে গেলে নেটওয়ার্ক মিলছে।
কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে গণমাধ্যমের অফিসগুলোতে সংবাদ পাঠাতে পারছেন না গণমাধ্যমকর্মীরা। মোবাইল বা মডেম কোনো কিছুই কাজ করছেনা। অফিসে সংবাদ পাঠাতে প্রায় এককিলোমিটার দূরে গিয়ে সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে।
এদিকে শনিবার রাষ্ট্রীয় মোবাইল কোম্পানী টেলিটক এবং এয়ারটেলে মাঝে মাঝে নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলেও রোববার তাতেও কাজ হচ্ছে না।
অনলআইন নিউজ পোর্টালের একজন গণমাধ্যমকর্মী রফিক মৃধা জানান, তার টেলিটক মডেম এবং মোবাইল ফোনে সকাল থেকে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছেনা। অফিসে নিউজ পাঠাতে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গুলশান গোলচত্বরে এসে সংবাদ পাঠাতে হচ্ছে।”
দ্যা রিপোর্ট ডটকমের রিপোর্টার মাহমুদুল হাসান বলেন, “গুলশান কার্যালয়ের সামনে হঠাৎ করেই গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না।এ অবস্থায় অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। সময়মতো অফিসে সংবাদ পাঠাতে না পেরে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে।”
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪২ মিনিটে কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ঢাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ডেসকো। শনিবার সকালে টেলিভেশনের ক্যাবল সংযোগ ও ইন্টারনেটের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এই আচরণের পর তিনি স্তম্বিত।
তবে শনিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পূন:সংযোগ দেওয়া হয়।
গত ৩ জানুয়ারি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুলশানের এই কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। কার্যালয়ে আরো আছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা।