সুনামগঞ্জে বন্যায় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত

SHARE

ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি ঢল ও সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় সুরমার পানি বিপদসীমার ৫৪ সে. মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ মিলিমিটার। সুরমার পাশাপাশি সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানিও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সুনামগঞ্জ জেলা শহরের কাজির পয়েন্ট, ষোলঘর, নবীনগর, উকিলপাড়া ও সাহেববাড়িঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। এদিকে ১১ উপজেলায় বন্যা তথ্য কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। সব উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলার নির্দেশনা দিয়েছে।

ভারতের মেঘালয়ে গত ৯ জুলাই থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো। তাছাড়া সুনামগঞ্জেও ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় সুরমার পানি বিপদসীমার ৭.৮০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৮.৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

পাউবো সূত্র আরো জানায়, ৯ জুলাই থেকে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা তিনদিন ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে পাহাড়ি ঢল সুনামগঞ্জে চাপ সৃষ্টি করেছে। যার ফলে নতুন করে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমাসহ সীমান্ত নদীগুলোতেও পানি বেড়েছে। প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে।

উল্লেখ্য গত ২৫ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সুনামগঞ্জে বন্যা হয়। জেলা শহর নিমজ্জিত হয়। ৬৪টি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয়। তবে ২৯ জুন থেকে পানি নেমে যায়। এতে রাস্তাঘাট ও মৎস্যখাতের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এবারের বন্যায়ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান বলেন, সুনামগঞ্জে নদ নদীর পানি বাড়ছে। তাই আবারও বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। সুরমার পানি বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতও বেড়েছে।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, প্রতিটি উপজেলায় বন্যা তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রও প্রস্তুত রয়েছে।