কুলাউড়ায় কর্তব্যরত শরাফত আলী (৪৫) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন কুলাউড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। আহত কনস্টেবলকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে রেলওয়ে প্লাটফরমে কাউন্টারের সামনে দায়িত্বরত অবস্থায় তাকে পিটিয়ে আহত করেন ওসি। সেই সঙ্গে আহত কনস্টেবলকে ‘অসুস্থ’ বলে চালিয়ে দিয়ে অভিযোগ ঢাকার চেষ্টাও করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে রেলওয়ে প্লাটফরমে দায়িত্বরত অবস্থায় রেলওয়ে পুলিশ কনস্টেবল শরাফত আলী ও ওসি জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে শরাফত আলীর অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে থানায় নিয়ে যান ওসি।
সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থানের পর অসুস্থ বলে দুই কনস্টেবলকে দিয়ে শরাফতকে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
বুধবার সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে কুলাউড়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নুরুল হক শরাফতকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
তবে ওসি জাহাঙ্গীর আলম শরাফত আলীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তার সঙ্গে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। তিনি থানায় বেঞ্চে বসা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
কুলাউড়া রেলওয়ে থানার কর্মরত একাধিক পুলিশ সদস্যের দাবি, জাহাঙ্গীর যোগদানের পর থেকেই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন। তাই তাকে ওই থানা থেকে প্রত্যাহারের দাবি তাদের।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতালে এলে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চায় সাংবাদিকরা। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই আমাকে একটু সাহায্য করেন।’ এ কথা বলে তার মারধরে কনস্টেবল আহত হওয়ার বিয়য়ে সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধও জানান তিনি।
এদিকে রেল পুলিশের (আখাউড়া সার্কেল) ইন্সপেক্টর নাছিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলামেইলকে বলেন, ‘রেলওয়ে ওসির হাতে কনস্টেবল আহত হওয়ার খবর আমি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’