ঢাকায় যাত্রীবাহী বিমানে কার্গো ফ্লাইট শুরু করেছে এমিরেটস

SHARE

ঢাকায় আবার নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট শুরু করেছে এমিরেটস এয়ারলাইনের পণ্য পরিবহন শাখা এমিরেট্স স্কাইকার্গো। ফ্লাইটগুলো সপ্তাহে দু-দিন মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার চলাচল করবে এবং দেশীয় শিল্পপণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ফ্লাইট পরিচলায় ব্যবহৃত যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজের বেলিহোল্ড এবং যাত্রী আসনে পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে এমিরেটসের কার্গো ম্যানেজার শেখ ইদ্রীস আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য উন্নয়নে এমিরেটস সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সাপ্লাই চেইন পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে স্থানীয় শিল্পের সহায়তায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি আমরা।

তিনি বলেন, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে কার্গো শিল্পের ভূমিকা অনেক বেশী গুরত্বপূর্ণ। এমিরেটস ফার্মা থেকে শুরু করে এমিরেটস ফ্রেশ পর্যন্ত সকল সেবা এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে তাপ সংবেদনশীল সকল পণ্যের ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক কুল চেইন বজায় রাখা এবং পুরো সাপ্লাই চেইনে নিরবিচ্ছিন্নতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।’

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ এবং আমেরিকায় তৈরি পোশাক, পিপিই ও মাস্ক, ঔষধ, পচনশীল পণ্য এবং কুরিয়ার সামগ্রী পরিবহনের আশা করছে এমিরেটস স্কাইকার্গো। অন্যদিকে সম্ভাব্য আমদানী পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল।

এমিরেটস স্কাইকার্গো বর্তমানে বিশ্বের ৭০টি দেশে দৈনিক প্রায় ১০০ সিডিউল কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হচ্ছে বোয়িং ৭৭৭ ফ্রেইটার এবং যাত্রীবাহী বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর। এসব গন্তব্য ছাড়াও অন্যান্য গন্তব্যেও পরিচালিত হচ্ছে চার্টার ফ্লাইট।

জানা গেছে, এমিরেটসের এই কার্গো ডিভিশন তাদের  কার্যক্রম যথেষ্ঠ পরিমাণে বৃদ্ধি করেছে এবং দৈনিক প্রায় তিন হাজার টন মালামাল ব্যবস্থাপনা করছে। এমিরেটস বর্তমান বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, লসএঞ্জেলস, শিকাগো, সাও পাওলো, লন্ডন, মাদ্রিদ, প্যারিস, ব্রাসেলসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটে কার্গো পরিবহণ সুযোগ দিচ্ছে।