২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী দিল নেটজ

SHARE

করোনা পরিস্থিতিতে সংকটে থাকা অতিদরিদ্র ২০ হাজার পরিবারকে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিয়েছে জার্মানভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা নেটজ বাংলাদেশ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহায়তায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দরিদ্র পরিবারগুলোতে এই সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে নেটজ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হাবিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর কৃষিভিত্তিক শ্রমের ওপর নির্ভরশীল অনেক পরিবারের মধ্যে সম্পদ বিক্রির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের কেউ কেউ অগ্রিম শ্রম বিক্রির ফাঁদেও পড়েছেন। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা উপরকরণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের নয়টি জেলায় নেট্জের পার্টনার এনজিওগুলোর মাধ্যমে তা বিতরণ করা হয়েছে।

নেটজ-এর কো-অর্ডিনেটর (অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং) মৌসুমী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৩০ এপ্রিল হতে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারকে ২০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি লবণ, এক কেজি চিনি, এক কেজি সুজি, এক লিটার ভোজ্য তেল, তিনটি সাবান, দুটি মাস্ক এবং কিছু প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। যা দিয়ে পরিবারগুলোর ১৫ হতে ২০ দিনের খাবার ব্যবস্থা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে স্থানভেদে ও দারিদ্রতার নিরিখে এ সহযোগিতার পরিমাণ কোথাও কোথাও বেশি প্রদান করা হয়েছে। নারীপ্রধান পরিবার, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধিত্ব আছে এমন পরিবার এবং যারা দুর্গম এলাকায় বাস করেন তাদেরকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এই সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেটজ-এর পার্টনার সংস্থাগুলোর মধ্যে গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও কুষ্টিয়া জেলায়, ডাসকো ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নঁওগা জেলায়, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন রংপুরে, পল্লীশ্রী দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলায়, এমজেএসকেএস কুড়িগ্রামে এবং আশ্রয় নঁওগা জেলায় এই খাদ্য ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছে।

এর আগে পরিবারের দৈনিক মাথাপিছু আয়, পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্যের সংখ্যা, এনজিও ঋণ আছে কিনা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা পাবার সক্ষমতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী থেকে সুবিধা পাচ্ছে কি-না ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে অতিদরিদ্র পরিবারগুলোকে বাছাই করা হয়।