স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখার রূপরেখা জানানোর নির্দেশ

SHARE

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য কারখানা চালু রাখার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। খাত-সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে দ্রুত রূপরেখা চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সভায় কারখানা খোলা ইস্যুতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। অবশ্য কবে নাগাদ কারখানা খুলতে পারে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, কারখানা খোলার ইস্যু ছাড়াও লে-অফ (সাময়িক বন্ধ) হওয়া কারখানা মালিকরা সরকারের প্রণোদনার অর্থ পাওয়া, বন্ধ থাকার সময়ে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ পরিষেবার বিল জরিমানা ছাড়া পরবর্তীতে পরিশোধসহ বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি লে-অফ হওয়া কারখানা মালিকরা সরকারের প্রণোদনার অর্থ পাবে না বলে মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারি করেছে।

আহমেদ কায়কাউস বলেন, ‘সরকার কোনো বিশেষ কমিটি বা টাস্কফোর্স নয়। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের ওপর সরকারের খবরদারিরও কোনো ইচ্ছে নেই। প্রণোদনার টাকা কীভাবে পাবে সে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। লে-অফ ঘোষণা করা কোনো কারখানা প্রণোদনা পাবে কিনা সে বিষয়টিও নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে খাত-সংশ্লিষ্টরা।’

বৈঠকে উপস্থিত এক ব্যবসায়ী নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সভায় লে-অফ হওয়া কারখানা শ্রমিকদের দেওয়া মজুরির অর্থ (প্রায় ৬০ শতাংশ) পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মত এসেছে। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় আরেকটি সংশোধিত আদেশ জারি করতে পারে। জরিমানা ছাড়া পরিষেবার বিল পরবর্তীতে পরিশোধের বিষয়েও সরকার ইতিবাচক।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, শ্রম সচিব, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান, সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, বর্তমান সভাপতি ড. রুবানা হক, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন প্রমুখ।

শফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, ‘পোশাক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি কিভাবে মোকাবিলা করা যায় সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নেওয়ার জন্য পোশাক কারখানাগুলো কিভাবে খোলা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগিরই মতামত দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা এখনই কারখানা খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেইনি।’