বাংলাদেশে সহিংসতা: জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি

SHARE

u16বাংলাদেশে অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কড়া ভাষায় একটি বিবৃতি দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বলেছে, বাংলাদেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বিরোধ মিটমাটে ব্যর্থ হওয়ার পর যেভাবে সহিংসতা বাড়ছে, তা খুবই উদ্বেগজনক।

সব রাজনৈতিক দলের প্রতি সংযম প্রদর্শন এবং অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয় এই বিবৃতিতে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বিশেষ করে যেভাবে নির্বিচারে গাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার একটি গাড়িতে এরকম হামলায় এক শিশুসহ চারজন পুড়ে মারা যাওয়া এবং বিএনপির এক উপদেষ্টার গাড়িতে হামলার কথা উল্লেখ করা হয় এ প্রসঙ্গে।

বাংলাদেশের সর্বশেষ এই রাজনৈতিক সংঘাতের সময় যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার সবগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন।

“সরকার বা সরকারের বাইরে যারাই এসব ঘটনার পেছনে থাক, আমরা চাই কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এসবের নিরপেক্ষ এবং কার্যকর তদন্তের উদ্যোগ নেবে।”
বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের গ্রেফতার এবং আটকের ক্ষেত্রে সরকার যেন স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় না নেয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নেয়া সব পদক্ষেপে যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লংঘন না ঘটে সেজন্যে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয় বিবৃতিতে।

Bangladesh: UN rights office alarmed at ‘deepening’ political violence

16 January 2015 – The United Nations human rights office has expressed concern over the rising levels of political violence rippling across Bangladesh amid fears of a return to a state of destructive brinkmanship seen in the run up to the country’s 2014 elections.
“The deepening political violence in Bangladesh, resulting from the failure of the two major political parties to resolve their differences peacefully, is very disturbing,” Ravina Shamdasani, spokesperson for the Office of the High Commissioner for Human Rights (OHCHR), said today at a press briefing in Geneva.
“We are concerned about the potential for the violence, which already led to deaths, injury and disruption, to spiral,” she added.
In late 2013, as Bangladesh prepared for its imminent elections, supporters of the country’s major parties clashed with each other and with security forces, leaving scores of people dead, hundreds injured, and causing extensive damage to property.
The incidents prompted former UN High Commissioner for Human Rights, Navi Pillay, to urge the country’s political leaders to set their differences aside, immediately halt the “destructive brinkmanship” and use their influence to ease the unrest.
According to a press release issued by OHCHR earlier this morning, the current the bout of unrest began on 5 January when the opposition Bangladesh National Party, otherwise known as the BNP, called on its supporters to launch a transport blockade to mark the anniversary of last year’s elections which the opposition had boycotted. The Government, for its part, imposed a ban on demonstrations and prevented senior members of the BNP from attending the protest. Since then, the UN agency explained, over a dozen people have reportedly been killed and hundreds injured in ongoing clashes between supporters of the two parties, as well as with security forces. A number of opposition leaders have also been arrested.
Amid the escalating violence, OHCHR said the “rampant use” of arson attacks on vehicles was “particularly disturbing,” citing a recent incident in which a crowded public bus was set on fire, resulting in the immolation deaths of four people including one child. The same day, a senior BNP advisor was shot at and his car set on fire.
“We urge all political parties to show restraint and to bring an immediate end to the violence,” Ms. Shamdasani continued. “We also call on the authorities to ensure the prompt, impartial and effective investigation of all killings committed – irrespective of whether they were committed by State or non-State actors.”
The OHCHR spokesperson also urged the Government to ensure that all arrests and detentions of key opposition leaders were “not arbitrary,” and that all measures taken to restore law and order are “conducted in line with the parameters set by international human rights law, including respect for the freedoms of peaceful assembly, movement and speech.”