সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকায় আজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে দর্শক সংখ্যা সীমিত করতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বা বিসিবি। বিসিবির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে টিকিট বিক্রি সীমিত করা হয়েছে। আর এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে জনস্বার্থকে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনকে শনাক্ত করার পর বিসিবি এই ব্যবস্থা নেয়।
বিষয়টি আলোচনায় আসে আজ সন্ধ্যার ওই ম্যাচের টিকিট না পাওয়াকে কেন্দ্র করে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য সকালে সাড়ে নয়টা নাগাদ টিকিট কিনতে গিয়েছিলেন এলাহী শুভ, যিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন ভক্ত ও নিয়মিত মাঠে খেলা দেখেন। তিনি জানান, সকালে যখন টিকিটের নির্ধারিত কাউন্টারে যান তখন সেখানে তিনি টিকিট পাননি। মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ ছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের কোনো ম্যাচেই বলার মতো দর্শক হয়নি।
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খুব বেশি দর্শক আগ্রহ দেখা যায়নি। টিকেট কী কারণে বিক্রি সীমিত হয়েছে তা জানতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জ্যেষ্ঠ মিডিয়া কর্মকর্তা রাবিদ ইমাম বলেন যে, এই বিষয়ে এখনো কোনো নিদের্শনা পাননি তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান নিশ্চিত করেন যে টিকিট বিক্রি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জালাল ইউনুস বলেন, ভীড় কমানোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। এখানে ‘জনসচেতনতাই মূল উদ্দেশ্য’। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জনসচেতনতার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে একজনকে যাতে একটার বেশি টিকেট না দেয়া হয়।’ আগের নিয়ম অনুযায়ী একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন।
শুধু খেলা নয় বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ আনা হচ্ছে। রবিবার রাতে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি জানিয়েছে, জনসমাগম হবে এমন অনুষ্ঠানগুলো আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে রবিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি কনসার্ট আয়োজন করা হবে, যেখানে থাকবেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় সুরকার এ আর রহমান।
এছাড়া বিসিবি সভাপতি বলেন, ঢাকায় ২১ ও ২২শে মার্চ এশিয়া একাদশ ও বিশ্ব একাদশের খেলা হবে ঢাকায়। পাপন এই ঘোষণা দেওয়ার আগেই অবশ্য বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো কিছু বলা খুব কঠিন। একটা জিনিস নিশ্চিত এখন পর্যন্ত সব ইভেন্টই সফলভাবে হবে। সামনে কী হবে তা তো জানি না, করোনাভাইরাস সব দেশে পাওয়া যাচ্ছে। সরকার কী পদক্ষেপ নেবে এবং পরিস্থিতি কী হবে সেটার ওপর নির্ভর করবে।
-বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অবলম্বনে