ইউনেস্কো ক্লাব সম্মাননা পেলেন কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল

SHARE

বাংলা সাহিত্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ইউনেস্কো ক্লাব সম্মাননা পেলেন জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল। এ ছাড়াও সম্মাননা পেলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সাংবাদিক ও টিভি ব্যক্তিত্ব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, সাহিত্যিক ও চিকিৎসক মোহিত কামাল এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ও চিকিৎসক ডা. ফেরদৌস খন্দকার।

বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ৫ গুণীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ৫ গুণীকে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্রসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আবু হেনা মোরশেদ জামান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা শামসুল মুক্তাদির।

অনুভূতি ব্যক্ত করে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, ‘পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র বীরের জাতি যে, আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলার জন্য জীবন দিয়েছি। বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠাতা করেছি। মূলত বাঙালি জাতির দেখানো পথ ধরেই পৃথিবীতে যার যার মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলা ভাষার লেখক হিসেবে এটা আমাকে গর্বিত করে।’

কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘যে কোনো সম্মাননা আনন্দের। লেখালেখি ও সাংবাদিকতাই আমার ধ্যান-জ্ঞান। এ দুটিই আমার জীবন ও প্রধান কর্মক্ষেত্র। দুটি ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। যতদিন বাঁচব, ততদিনই কাজ করে যাবো। সাহিত্য ক্ষেত্রে এ সম্মাননা ও পুরস্কার পথ চলায় অনুপ্রেরণা দেবে।’

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘আমি ১৮ বছর গবেষণা করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৩টি উপন্যাস লিখেছি। আমার লেখায় তুলে ধরেছি অন্যরকম এক ব্যক্তিত্বকে। লেখক ও সাংবাদিককের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তারা একটি জাতিকে দিক-নির্দেশনা দেন। প্রকৃত পক্ষে তারাই পথ দেন একটি জাতিকে ও রাষ্ট্রকে।’

সম্মাননাপ্রাপ্ত ৫ গুণীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘মাতৃভাষার প্রতি ভালোবাসা শ্রেষ্ঠতম ভালোবাসা। বাঙালি জাতি বায়ান্ন ও একাত্তরে এ ভালোবাসার উজ্জ্বল নিদর্শন রেখেছেন। বায়ান্ন ও একাত্তরের চেতনার পথ ধরেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে।’