‘এনআরসি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি, কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প নেই’

SHARE

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছেন, নাগরিকত্ব আইন কখনোই এ দেশের মুসলিমদের জন্য নয়। দেশে কোথাও এনআরসির ডিটেনশন ক্যাম্প হয়নি। আজ রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে এসব কথা বলেন মোদি।

মোদি আজ তার ভাষণে আরো বলেন, এটা মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাভাবনা। নাগরিকত্ব আইন কারো নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়। নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। গান্ধীজি অনেক আগেই বলেছিলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে যেসব শরণার্থীরা ধর্মান্ধ মানু্ষদের অত্যাচারে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের এদেশে স্বাগত জানানো হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং–ও এ কথা ১০ বছর আগে সংসদে বলেছিলেন।

মোদি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নাগরিক আইন দেশের (ভারতের) ১৩০ কোটি হিন্দু বা মুসলিমদের জন্য নয়। ভারতের যে সব মুসলিমদের পূর্বপুরুষদের এখানেই জন্ম, তাদের জন্য নাগরিক আইন কখনোই নয়। দেশে এনআরসি তো আদৌ হয়ইনি। দেশে তো কোথাও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই। ভারতীয় মুসলিমদের কোনো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না। বাচ্চাদের মতো কথা বলছে বিরোধীরা। মানুষকে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। কংগ্রেস এবং তার সঙ্গী দলেরা চেঁচাচ্ছে কাকে কান কেটে নিয়েছে। আর লোকেরা কাকের পিছনে দৌড়চ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব কখনোই কেড়ে নেওয়া হবে না। তাদের কোনো ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে না। ভারতে তো কোনো ডিটেনশন কেন্দ্রই নেই।

এরপর নাম উল্লেখ না করে রামচন্দ্র গুহ সহ বিশিষ্ট সমাজকর্মী এবং শিক্ষাবিদদের শহুরে নকশাল বলে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, শহুরে নকশালীরা ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে যে সব মুসলিমদেরই ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। শিক্ষিত মানুষরাও জানেন না সেটা আসলে কী। সাংবাদিকরা যখন কাউকে জিজ্ঞেস করছেন কোথায় তৈরি হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প, তখন কেউই তা বলতে পারছেন না। এটা দেশকে নষ্ট করার চক্রান্ত। এটা অপবিত্র খেলা।

দলিত নেতাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো থেকে অত্যাচারিত হয়ে যেসব দলিতরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের কথা ভাবছেন না সেই সব নেতারা।

বিক্ষোভকারীদের হাতে ‌পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশকর্মীদের মারা হচ্ছে ডিউটির সময়। হিংসার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। সরকার বদলায়, পুলিশ নয়। তারা কোনো দলের জন্য কাজ করে না। পুলিশকর্মীরা মানুষের সেবায় সবসময় তৎপর। দিল্লির বাজারে আগুন লাগার সময়ও পুলিশ সবাইকে বাঁচিয়েছিল কারো জাতি–ধর্ম না জিজ্ঞেস করে।