ভারতে ছাত্র বিক্ষোভ : হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের একাত্মতা প্রকাশ

SHARE

রবিবার ভারতের দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া এবং আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। এই পুলিশি পদক্ষেপকে ‘বিক্ষোভকারীদের সহিংস দমন’ হিসাবে অভিহিত করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। তারা এ বিষয়ে ভারতের সরকারকে একটি খোলা চিঠি লিখেছে। ওই চিঠিতে ভারতের ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীরা।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীরা রবিবারের পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) এর শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছে, প্রতিবাদ ও মতবিরোধ গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত অংশ।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওই চিঠিতে বলেছেন, পুলিশ কর্তৃক বিক্ষোভকারীদের সহিংস দমন, টিয়ারগাস ব্যবহার, লাঠিচার্জ এবং শান্তিপূর্ণ মতবিরোধের জবাবে শারীরিক নির্যাতন সমর্থনযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ বাহিনীর জোর করে প্রবেশ এবং সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া খুবই নিন্দনীয়।

এদিকে, অভিযোগ উঠেছে, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের আলীগড় বিক্ষোভের সময় পুলিশ অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে। সে সময় পুলিশ ছাত্রদের ওপর সহিংস আচরন করেছে।

ওই সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। ১০০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। পরে আটককৃত ছাত্রদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরা বলেছেন, পুলিশ বর্বর আচরণ করেছে। এ বিষয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে তাতে আমরা হতবাক ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে অমুসলিমদের পক্ষে ভারতীয় নাগরিক হওয়া সহজ করে তোলে এমন নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শিক্ষার্থী এবং জনতার বিক্ষোভ পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচকরা বলছেন, আইনটি মুসলমানদের সাথে বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিগুলির পরিপন্থী।