ধর্ষণে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারাল তরুণী

SHARE

একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ভারতে হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে গায়ে আগুন ধরিয়ে খুন করা হয়েছিল। উন্নাওয়ে আবার ধর্ষণের শিকার যুবতীকে আদালতে যাওয়ার পথেই পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষ হয়েছিল তাঁর। প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল মুজাফ্ফরপুরে। ধর্ষণ থেকে বাঁচার চেষ্টা করায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তরুণীর। সোমবার রাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

ভারত জুড়ে ধর্ষণের প্রতিবাদ হচ্ছে। আর এরই মাঝে প্রতিদিনই শিরোনামে উঠে আসছে ধর্ষণের ঘটনা। এবার ধর্ষণ থেকে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হলো ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে। গত ৭ ডিসেম্বর রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৪০ নাগাদ প্রাণ হারান তরুণী।

অভিযোগ, আহিয়াপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তাঁরই এক প্রতিবেশী। তরুণী এমন ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু ধর্ষণে বাধা পেতেই ওই প্রতিবেশীর রোষের মুখে পড়তে হয় তরুণীকে। তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্ত। তরুণীর চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশপাশের লোকেরা। তাকে উদ্ধার করে পরের দিন নিয়ে যাওয়া হয় মুজাফ্ফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল তাঁর।

পরে তাঁকে পাটনার এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে সোমবার রাত ১১টা ৪০ নাগাদ প্রাণ হারান তরুণী।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্রমেই তরুণীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটছিল। দেহের আভ্যন্তরীণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। মূত্রের পরিমাণও কমে গিয়েছিল। বেড়েছিল শ্বাসকষ্ট। ফলে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হলো না।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন