নৌদুর্ঘটনায় ৪৪ বছরে ৪৭১১ জনের প্রাণহানি

SHARE

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সংসদে জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সাল হতে ২০১৯ সালের নবেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ৪৪ বছরে ৬৫৭টি নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ হাজার ৭১১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এসব নৌদুর্ঘটনায় ৪৮২ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি আরো জানান, গত ৪৪ বছরের মধ্যে নৌদুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানী ঘটে ২০০৩ সালে। এ বছরে ৩২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪৬৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৯৮৬ সালে ১১টি নৌদুর্ঘটনায় ৪২৬ জন, ১৯৯৪ সালে ২৭টি নৌদুর্ঘটনায় ৩০৩ জন, ২০০০ সালে ৯টি নৌদুর্ঘটনায় ৩৫৩ জন, ২০০৫ সালে ২৮টি দুর্ঘটনায় ২৪৮ জন, ২০০৯ সালে ৩৪টি নৌদুর্ঘটনায় ২৬০ জন, ১৯৮৮ সালে ১১টি নৌ দুর্ঘটনায় ১০৮ জন, ১৯৯০ সালে ১৩টি নৌদুর্ঘটনায় ১৬৮ জন, ১৯৯৩ সালে ২৪টি দুর্ঘটনায় ১৮৩ জন, ১৯৯৬ সালে ২০টি দুর্ঘটনায় ১৪৭ জন, ১৯৯৭ সালে ১১টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন, ১৯৯৯ সালে ৬টি দুর্ঘটনায় ১০৪ জন, ২০০২ সালে ১৭টি দুর্ঘটনায় ২৯৭ জন এবং ২০০৪ সালে ৪১টি দুর্ঘটনায় ১২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়াও বিভিন্ন বছরে নৌদুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান, নৌপথের নাব্যতা উন্নয়ন করে সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছোট-বড় নদীগুলো খনন করার জন্য বর্তমান সরকার কর্তৃক একটি ড্রেজিং মাস্টার প্লান করা হয়েছে। উক্ত মাস্টার প্লান অনুযায়ী বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃক ১৭৮টি নদী খনন করে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ নাব্য করা হবে।

সংরক্ষিত নারী আসনের বেগম নাজমা আকতারের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিআইডাব্লিউটিসি’র অধীনে পাটুরিয়া সেক্টরে ২০টি, শিমুলিয়া সেক্টরে ১৯টি, চাঁদপুর সেক্টরে ৪টি, ভোলা সেক্টরে ৩টি ও লাহারহাট সেক্টরে ৪টিসহ মোট ৫০টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। ফেরি সার্ভিসের উন্নয়নে ইতোমধ্যে ২টি রো রো ফেরি, ৬টি কে-টাইপ ফেরি, ১১টি ইউটিলিটি টাইপ ফেরি নির্মাণ করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরো ২টি কে-টাইপ ফেরি বহরে যুক্ত হবে।