গত ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করে সেখান থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। তারই প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে উপত্যকা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ এই দু’টি অঞ্চল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এরপরই বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নেওয়ার কথা জানান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পিডিপি-র নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে বিজেপি সমর্থন তুলে নেওয়ায় পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। এরপরই উপত্যকায় কেন্দ্রীয় শাসন জারি হয়। প্রথম ৬ মাস ছিল রাজ্যপালের শাসন। এরপর ৬ মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। তবে সংসদের অনুমোদনে সেই মেয়াদ ক্রমেই বাড়ানো হয়। পরে জম্মু ও কাশ্মীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরই সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি শাসন।
জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেনেন্ট গভর্নর হচ্ছেন গিরিশচন্দ্র মুর্মু। লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন প্রাক্তন নিরাপত্তা সচিব আরকে মাথুর। মাথুরকে শপথবাক্য পাঠ করান জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করে একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।
এদিকে, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকেই লাগাতার চলছে অচলাবস্থা। প্রাথমিকভাবে সরকার কার্ফু জারি করেছিল। বন্ধ করেছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু এখনও স্বাভাবিকতায় ফিরছে না কাশ্মীর। স্কুল কলেজ খোলা থাকলেও উপস্থিতি নগণ্য। দোকানপাট সকালে ২ ঘণ্টার জন্য খুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে আচমকা হামলা। গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের কুলগাঁওয়ে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন পাঁচ শ্রমিক।