বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

SHARE

বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার এক তরুণী ঢাকার ভাটারা থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন।

বিয়ের কথা বলে ফারুক প্রায় দেড় মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বানারীপাড়াবাসী। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় ছিল দিনভর আলোচনা ও সমালোচনা।

জানা গেছে, বানারীপাড়ার ডান্ডোয়াটে ফারুকের বাড়ি। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় (ভাটারা) তার নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানে কেউ না থাকলেও মাঝে-মধ্যে তিনি থাকেন। ওই ফ্ল্যাটেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওই তরুণীর গ্রামের বাড়িও বরিশালে। পুলিশ জানায়, রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বিউটি পার্লারে ওই তরুণী কাজ করেন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে তার মোবাইল ফোনে অজ্ঞাত নম্বর থেকে কল এলে প্রথমে তিনি ধরেননি।

এর পরও একই নম্বর থেকে বারবার ফোন আসতে থাকে। গোলাম ফারুক তাকে বারবার ফোন করতেন। একপর্যায়ে তরুণীটি ফোন রিসিভ করেন। কথাবার্তার সূত্র ধরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর থেকে বিয়ের কথা বলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাটে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন গোলাম ফারুক। সম্প্রতি তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফারুক নানা কৌশলে তাকে ঘুরাতে থাকেন। প্রত্যাখ্যাত হয়ে তরুণী ফারুকের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, গোলাম ফারুক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় মামলা করা হয় (মামলা নং ৪৬)। তবে গোলাম ফারুকের বাড়ি বানারীপাড়া কিনা তা তিনি জানেন না। অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোলাম ফারুকের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণ জনগণ এ ঘটনায় ছি ছি করছেন।