হাসপাতাল থেকে সম্রাট কারাগারে

SHARE

সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটি র্যাবের হাতে স্থানান্তরিত হতে পারে। থানার পুলিশের তদন্তে ওই মামলার উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই।

ক্যাসিনো অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত আরেক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী ব্যবসায়ী জি কে শামীমকে আজ রবিবার আদালতে পাঠানো হবে। মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছিল অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল তাঁদের রিমান্ড শেষ হয়েছে। এ ছাড়া গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানকেও মানি লন্ডারিং আইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সময় তাঁর সহযোগী আরমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দুজনকেই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দুই দিন পর ৮ অক্টোবর সম্রাট বুকে ব্যথা অনুভব করেন বলে জানান। ওই দিন সকালে কারা কর্তৃপক্ষ সম্রাটকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে তাঁকে জাতীয় হৃদেরাগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। চার দিন পর গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে ফের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব উল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চিকিৎসকের ছাড়পত্র দেওয়ায় তাঁকে (সম্রাট) কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’

কারা সূত্র জানায়, সম্রাটকে কারাগারের সূর্যমুখী ওয়ার্ডের একটি সেলে একা রাখা হয়েছে। এক কারা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, কারাগারে বন্দি রাখার নিয়ম হচ্ছে কোনো সেলে একজন অথবা তিনজন অথবা পাঁচজন রাখা। সম্রাটকে সূর্যমুখী ওয়ার্ডের দোতলার একটি কক্ষে একাই রাখা হয়েছে। কারারক্ষী ছাড়া তাঁর সঙ্গে আর কারোর দেখা হওয়ার সুযোগ নেই। ওই কর্মকর্তা জানান, সাধারণত সন্ত্রাসী হিসেবে আলোচিত কোনো বন্দির সঙ্গে অন্য বন্দিদের রাখা হয় না।

অন্যদিকে ক্যাসিনো অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত খালেদ ও জি কে শামীম সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে দেশে-বিদেশে কত টাকা রেখেছেন—এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। বিদেশে থাকা কোন কোন সন্ত্রাসীর কাছে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছেন—এসব তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের দুজনেরই গতকাল রিমান্ড শেষ হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘তাঁদের দুজনের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। আমরা কয়েকটি সংস্থার কাছে তাঁদের সম্পদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছি। ওই সব তথ্য আসার পর যদি তাঁদের আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আবারও রিমান্ডে আনা হবে।’

অন্যদিকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলাটিও স্থানান্তরিত হয়েছে সিআইডির কাছে। সিআইডি তাঁকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছেন ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ।