এবার মুম্বাইয়ে এনআরসি, তৈরি হচ্ছে বন্দিশালা

SHARE

আসামের গোয়ালপাড়া জেলায় তিন হাজার মানুষ থাকার মতো ১০টি ডিনেটশন ক্যাম্প এরইমধ্যে প্রস্তুত করা কাজ শুরু করেছে সরকার। ৪৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এই ক্যাম্প। কেবল আসামেই নয়, মুম্বইয়েও তৈরি হতে পারে আরো একটি ক্যাম্প।

অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাখতে ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করার জন্য জমি চেয়ে, নবি মুম্বাই প্ল্যানিং অথরিটিককে এরইমধ্যে চিঠি দিয়েছে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তর।

সম্প্রতি আসামে চালু করা হয়েছে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি। ওই পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। রাষ্ট্রহীন এই মানুষদেরই ঠিকানা হবে ডিটেনশন ক্যাম্প। আসামের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবসতিপূর্ণ রাজ্য মুম্বাইয়েও এই এনআরসি করার সম্ভাবনা রয়েছে।

মহারাষ্ট্রের শিল্পোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নেরুল এলাকায় এই দপ্তরের যে জমি রয়েছে, তা থেকে দুই-তিন একর জমি চাওয়া হয়েছে ‌এরইমধ্যে। এলাকাটি মূল মুম্বাই শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। এই জমিতেই তৈরি হবে ডিটেনশন ক্যাম্প।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবশ্য জমি চাওয়া বা এই ব্যাপারে কোনো রকম চিঠি দেওয়ার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, দেশের যে সমস্ত এলাকায় বেশি অনুপ্রবেশকারী বাস করছে, সে সব জায়গায় ডিনেটশন সেন্টার তৈরি করতে হবে বলে জানা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মহারাষ্ট্রেও তৈরি হতে পারে ডিটেশন সেন্টার।

কয়েক মাস পরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। এরইমধ্যে শিবসেনা অভিযোগ তুলেছে, মুম্বাইয়ে অবৈধ বাংলাদেশিরা বসবাস কাজ করছে। গত সপ্তাহেই শিবসেনা নেতা অরবিন্দ সাওয়ান্ত একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘প্রকৃত নাগরিকদের সমস্যার সমাধানে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরির প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আমরা এনআরসির পদক্ষেপকে সমর্থন জানাই। এখান থেকে বাংলাদেশিদের তাড়াতে মুম্বাইয়েও একই পদক্ষেপ চাই।