শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় আমেরিকার বেশি ক্ষতি হবে : তালেবানের হুমকি

SHARE

আফগানিস্তানে তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অনেকদূর এগিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে সম্প্রতি তালেবানদের আক্রমণে একজন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর সংগঠনটির সাথে শান্তি আলোচনা বাতিল করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় এক বিবৃতিতে তালেবাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তি আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে ক্ষতি হবে। এমনকি জীবনহানির ইঙ্গিতও করা হয়েছে এতে।

সম্প্রতি তালেবানের সেই বিবৃতি উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শান্তি আলোচনা বাতিল করার কারণে আমেরিকানদের আরো বেশি জীবনহানি ঘটবে।

‘এর ফলে আমেরিকার বেশি ক্ষতি হবে। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের শান্তি-বিরোধী অবস্থান বিশ্বের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাদের জীবন এবং সম্পদের ক্ষতি বৃদ্ধি পাবে’ বলে মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।

শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এক বিবৃতিতে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করে বলেন, একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শান্তি আলোচনা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়টি পরিপক্বতা এবং অভিজ্ঞতার অভাবে হয়েছে।

তিনি বলেন, তালেবান এবং আফগান সরকার আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের সরকার এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এর আগে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে নয়-দফা আলোচনা হয়েছে। গত সোমবার শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তা ‘নীতিগতভাবে’ শান্তিচুক্তির ঘোষণা দেন। প্রস্তাবিত সেই চুক্তিতে বলা হয় আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে ৫৪০০ সেনা প্রত্যাহার করবে। এর বিনিময়ে তালেবান নিশ্চয়তা দেয় যে দেশটির মাটি কখনোই সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করবে না।

আফগানিস্তানে বর্তমানে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় ১১ই সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পরিকল্পনাকারীদের তালেবানরা আশ্রয় দিয়েছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০১ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাহিনীর প্রায় সাড়ে তিন হাজার সদস্য আফগানিস্তানে নিহত হয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন সেনা দুই হাজার তিনশ’রও বেশি।

আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫৮ হাজার সদস্য নিহত হয়েছে। এছাড়া ৪২ হাজার যোদ্ধাও মারা গেছে বলে উঠে এসেছে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইন্সটিটিউটের পরিসংখ্যানে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।