ভারতে মসজিদফেরত যুবককে ‘শ্রী রাম’ না-বলায় মারধর

SHARE

লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর গত শনিবার মোদি বলেছিলেন, সমাজের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। এতদিন যেভাবে সংখ্যালঘুদের ‘ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে’ ব্যবহার করা হতো, তা বন্ধ করতে হবে। এ কথা বলার একদিন পরই বিজেপিশাসিত হরিয়ানার গুরুগ্রামে ঘটল একটি অপ্রীতিকর ঘটনা।

মোহাম্মদ বরকত (২৫) নামে এক যুবক দাবি করল, মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরে আসার সময় রাস্তায় চার-পাঁচ লোক তাকে ঘিরে ধরে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয় এবং বারবার ‘জয় শ্রী রাম’ বলার জন্য জোর করে। রাজি না হওয়ার তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় বলে তার অভিযোগ।

মুসলিম ওই যুবক বলেন, আমি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরছিলাম। রাস্তায় একজন লোক পথ আটকে আমার মাথার টুপি খুলে ফেলতে বলে। রাজি না হওয়ায় জোর করে মাথা থেকে টুপি ফেলে দিয়ে আমাকে মারতে থাকে, সঙ্গে চলে গালি। সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি দাবি করে বরকত আরো বলেন, আরো কয়েকজন এসে আমাকে ‘জয় শ্রী রাম’ উচ্চারণ করতে বলে। আমি বললাম, কেন বলব এ কথা? এটা বলার পরই তারা আমাকে মারধর শুরু করে এবং আমার পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়। এরপর একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি করেন বরকত।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজও শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

বরকত বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা, এখন গুরুগ্রামে থাকেন। গুরুগ্রামের ঘটনার দুই দিন আগে মধ্যপ্রদেশেও একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। গোমাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দাবি করে এক মুসলমান দম্পতিসহ চারজনকে বেধড়ক পেটানো হয় মধ্যপ্রদেশের সিওনিতে।
সূত্র : এনডিটিভি