তাসকিন-রেজার ‘স্বান্ত্বনা পুরস্কার’

SHARE

প্রথমে তাদের দলেই নেওয়া হলো না। সফর শুরুর আগে হুট করেই আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হলো তাসকিন আহমেদ এবং ফরহাদ রেজাকে। আজকেরটি বাদ দিয়ে শুধু ফাইনাল বাকী এই সিরিজের। একটি ম্যাচ নষ্ট হয়েছে বৃষ্টিতে।শুক্রবারের ফাইনালে যে এই দুজনকে খেলানো হবে- তা ভাবাটাও বাড়াবাড়ি। তাহলে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখার জন্যই কি এই দুজনকে হুট করে আয়ারল্যান্ডে উড়িয়ে নেওয়া হলো?

এতটা নেতিবাচক না ভাবলে ইতিবাচক হিসেবে ভাবা যায়। বিপিএলে দারুণ পারফর্ম করা তাসকিন ইনুজরিতে পড়েছিলেন। দল ঘোষণার সময় শতভাগ ফিট না হলেও বোলিং করার উপযুক্ত হয়েছিলেন। তাকে বাদ দেওয়ায় অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। সেজন্যই হয়তো তাসকিনের জন্য এটা ‘স্বান্ত্বনা পুরস্কার’। আর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলা অভিজ্ঞ ফরহাদ রেজাকেও সম্ভবত একই কারণে আয়ারল্যান্ডে নেওয়া হয়েছে। ভালো খেলার পুরস্কার হিসেবে আয়ারল্যান্ড ভ্রমণ।

শুধু এই দুজন নয়, ইয়াসির আলী এবং নাঈম হাসানের ভাগ্যেও একই জিনিস ঘটল। বড় আশা নিয়ে হয়তো গিয়েছিলেন আয়ারল্যান্ড সফরে। ডাবলিনের টিম হোটেল, মাঠে টুকটাক অনুশীলন আর সাইডবেঞ্চে বসে থাকা ছাড়া তাদের আর কিছুই করা হলো না। আয়ারল্যান্ড সফরটা যে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সফর, এটা তো আগ থেকেই জানা ছিল। এ প্রস্তুতিতে বিশ্বকাপের খেলোয়াড়দের আগে সুযোগ দেওয়া হবে, সেটি স্বাভাবিক। তাহলে শুধু শুধু এত বিশাল দল নিয়ে আয়ারল্যান্ড যাওয়ার দরকার কী?

এর আগেও যে এমনটা হয়নি তা নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে তরুণদের পরিচয় করিয়ে দিতে, ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য অনেক ক্রিকেটারকে দলের সঙ্গে রাখা হতো। এবার বিশ্বকাপ দলের বাইরে চারজন বেশি হওয়ায় বিষয়টা চোখে লাগছে। তাছাড়া ভারত কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মতো ‘বি-টিম’ দিয়ে অ-গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চালিয়ে দেওয়ার পর্যায়ে বাংলাদেশ এখনও আসেনি তা স্পষ্ট। যে কারণে সেরা ক্রিকেটারদের নিয়মিতই একাদশে দেখা যাচ্ছে।