বাণিজ্য মেলার ২৪তম আসরে রপ্তানি আদেশ বেড়েছে

SHARE

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৪তম আসরে বাংলাদেশি কম্পানিগুলো প্রায় ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আদেশ পেয়েছে বলে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘গত বছর ২৩তম আসরে ১৬৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ পেয়েছে। আর এ বছর বাংলাদেশি কম্পানিগুলো প্রায় ২০০ কোটি টাকা রপ্তানি আদেশ পেয়েছে। সে হিসেবে এ বছর রপ্তানি আদেশ বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা।’ আজ শনিবার বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, গত বছর ২৩তম আসরে ২০ মিলিয়ন ডলার বা ১৬৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার রপ্তানি আদেশ পায় বাংলাদেশি কম্পানিগুলো। তার আগের বছর ২২তম আসরে বাংলাদেশি কম্পানিগুলোর ২৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলারের স্পট অর্ডার এসেছিল। আর ২০১৬ সালে ছিল ২৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকার অর্ডার। এছাড়া ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যথাক্রমে ৯৫ কোটি ও ৮০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পায় বাংলাদেশি কম্পানিগুলো। এর আগের বছর ২০১৩ সালে ১৫৭ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ এসেছিল ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মেলায় এবার বিক্রি ও রপ্তানি আদেশ ভালো হয়েছে। আমাদের মেলার চাহিদা যেভাবে বাড়ছে, এখানে মেলা করতে হিমশিম খেতে হয়। আগামীতে পূর্বাচলে ৩০ একর জায়গায় এ মেলা আয়োজন করা সম্ভব কি-না, তা এখন থেকেই ভাবতে হবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর পর মেলার চাহিদা আরো বাড়বে। কারণ পূর্বাচলে ৩০ একর জায়গা এ মেলার জন্য অপ্রতুল। তবে সেখানে সারা বছর অন্যান্য মেলা চলবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা সেখানে আয়োজন করা যাবে না। তাই এখন থেকে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, এবারের মেলায় সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো আমাদের দেশি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। বায়াররা আমাদের পণ্যে আকৃষ্ট হচ্ছে। এর ফলে আগামীতে আমাদের আমদানি কমে যাবে। এছাড়া রপ্তানিতে আমাদের পোশাক খাতের নির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য পণ্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি চিন্তা ও চেতনায় আমাদের আরো এগোতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব এস এম রেজওয়ান হোসেন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্যসহ প্রমুখ ।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মেলা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের অনুরোধে সময় একদিন বাড়ায় আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এবারের মেলায় ১২ ক্যাটাগরিতে ৪২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।