১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
মোবারকের বিরুদ্ধে আনির ৫টি অভিযোগের মধ্যে ১ ও ৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বাকি তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ১ নম্বর অভিযোগে ফাঁসি ও তিন নম্বর অভিযোগে তার যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রায় ঘোষণাকালে আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম,তারিকুল ইসলাম ও মোবারকের ছেলে আসাদুল্লাহ ও নজিবুল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর হায়দার আলী, জেয়াদ আল মালুম, তুরিন আফরোজ, শাহিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল রবিবার মোবারকের মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়।
গত ২ জুন উভয়পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখা হয়। ওই দিন আদালতে মোবারকের পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান।
এর আগে ১৯ মে প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান আসামি মোবারকের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করে শেষ করেন।
এ মামলায় আসামি মোবারক হোসেন নিজে ও তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়।