নিজস্ব প্রতিবেদক :
ধোঁকাবাজ ১৮ হজ এজেন্সির বেশিরভাগ মালিকই পালিয়েছেন সৌদি আরবে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের নজরদারিতে রয়েছে সব অফিসই। সম্প্রতি প্রতারনার অভিযোগে এই প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামে দুদক। কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রতারনার সঙ্গে কোন সরকারি কর্মকর্তা জড়িত কিনা তাও খুঁজে দেখা হবে।
আব্দুল কুদ্দুস। থাকেন কামরাঙ্গির চর। জীবনের শেষ ইচ্ছা- হজ করবেন। সে উদ্দেশ্যে নিজের সঞ্চিত সম্বল তুলে দিয়েছিলেন রাজধানীর মতিঝিলের হজ এজেন্সি এন ই এয়ার সার্ভিসকে। তবে মক্কা যাওয়া হয়নি তার।
এন ই এয়ার সার্ভিস নয়, এমন প্রতারকদের তালিকায় রয়েছে পল্টনের আল বালাদ ওভারসিস্, সাঈদ এয়ার ইন্টার ন্যাশনালসহ ১৮টি প্রতিষ্ঠান। তারা হজ গমনে ইচ্ছুক শতাধিক ব্যক্তির টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন এ অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।
এই ১৮ হজ এজেন্সির প্রতারণার কারণে এবার হজে যেতে পারেননি ৯৮ জন হজপ্রত্যাশী। এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে হজক্যাম্পে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এরইমধ্যে প্রতারক এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে দুদকের কাছে প্রতারনার শিকার একাধিক সাব এজেন্ট এসেছিল প্রতারনার বর্ননা দিতে। আল বালাদ ওভারসিস এবং সাঈদ এয়ার ইন্টার ন্যাশনালের বিরুদ্ধে কোটি টাকা প্রতারনার অভিযোগ এ দু জনের। তারা জানিয়েছেন, হজে যেতে ইচ্ছুকদের টাকা ফেরত না দিতে পারায় তার এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
শুধু প্রতারক প্রতিষ্ঠানই নয়, এর সঙ্গে আরও কারা জড়িত- এর অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান।