এটিএন টাইমস ডেস্ক :
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্রায় সব নদ-নদীর পানিই বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সামান উন্নতি হয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে মুল বাঁধের ৫টি পয়েন্টে গতকাল পানি চুয়াতে থাকলে গভীররাতেই বালুর বস্তা ফেলে সেগুলো মেরামত করা হয়।জামালপুরে পানিবন্দি মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে নৌকা, আশ্রয় কেন্দ্র, বাঁধ, ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সঙ্কট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের। কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ও সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত তিন দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে দুই জন। কুড়িগ্রাম-ভুরুঙ্গামারী সড়ক তলিয়ে ৪টি পয়েন্টে ধসে যাওয়ার বন্ধ রয়েছে সোনাহাট স্থল বন্দরসহ নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও পানি এখনো বিপদসীমার ওপরে। দিনাজপুর শহরের পার্শবর্তী পূনর্ভবা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। শহররক্ষায় বাধ দ্রুত মেরামতের কাজ করছে সেনাবাহিনী।