ডেস্ক রিপোর্ট:
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হবার ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও, আজও প্রিয়জন আর সহকর্মীদের মনে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় মিশে আছেন সাংবাদিক মিশুক মুনীর। রোববার সকালে মিশুক মুনীরের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সহধর্মীনি মঞ্জুলি কাজী এবং শেষ কর্মস্থল এটিএন নিউজের সহকর্মীরা।
যে চালকের ভুলে দুর্ঘটনা ঘটল, জেলে থাকায় তাকেও তো তার পরিবার কাছে পাচ্ছে না। এ থেকে কি কেউ শিক্ষা নেবে না?। সড়ক দুর্ঘটনায় আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আমি সেই প্রার্থনা করি। বললেন, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মাতা নুরুন্নাহার মাসুদ। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে আর ফিরে পাব না।
মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, ১৯৫৬ সালে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় নূরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। জন্মভিটায়ই চিরনিদ্রায় শায়িত তিনি, এখানেই তাঁর সমাধি।
১৩ আগস্ট তারিখটা সাংবাদিক মিশুক মুনীরের স্ত্রী মঞ্জুলি কাজীর কাছে সব হারানোর দিন। ৬ বছর আগে বৃষ্টিমুখর এমনই এক দিনে মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন, মিশুক মুনীর, তারেক মাসুদ সহ ৫ জন।
বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ মিশুক মুনীরকে হারিয়ে এখনো নিরাপদ সড়কের দাবিতে কাজ করে যাচ্ছেন মঞ্জুলি কাজী। প্রেরণা ২৬ বছরের জীবনসঙ্গী মিশুকের স্মৃতি। এটিএন নিউজের উপদেষ্টা ও সিইও সরকার ফিরোজ বললেন, মিশুক মুনীরকে হারানোর অপূরণীয় ক্ষতির কথা।
এলাকাবাসী গর্বিত ছিলেন তাদের এই কৃতি সন্তানকে নিয়ে। ২০১১ সালে, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু আজও মেনে নিতে পারেন না তারা। তাদের দাবি, তারেক মাসুদের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হোক। জাতীয়ভাবে পালন করা হোক তাঁর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী।
তারেক মাসুদের মা নুরুন্নাহার মাসুদ ও ভাই সাঈদ মাসুদ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, এমন মর্মান্তিকভাবে আর কোনো প্রাণ যেন না হারায়। স্বজন, বন্ধু আর সহকর্মী সবার এখন একটাই চাওয়া মৃত্যুর ওপারে যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন প্রিয় মিশুক মুনীর।