কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ছয়টি দেশ। এই দেশগুলো হলো: সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, লিবিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি ও সন্ত্রাসবাদ উসকে দেওয়ার অভিযোগে আজ সোমবার কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় এই দেশগুলো। আজ সকালে প্রথমে বাহরাইন এবং পরে সৌদি আরব এই ঘোষণা দেয়। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, ইয়েমেন ও লিবিয়া একই পথ অনুসরণ করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেওয়া দেশগুলোর মূল অভিযোগ, সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল-কায়েদাকে মদদ দিচ্ছে কাতার। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ছয় দেশের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণাকে ‘অযৌক্তিক’ ও ‘ভিত্তিহীন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া’ সিদ্ধান্তকে বলে অভিহিত করেছে কাতার।
আজ সোমবার সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কাতারের সঙ্গে ভূমি, সমুদ্রসীমা ও আকাশ সীমার সব যোগাযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। বাহরাইনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাতারের সমুদ্র ও আকাশ সীমার সব যোগাযোগ বন্ধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাহরাইনে বসবাসরত কাতারের নাগরিকদের ১৪ দিনের মধ্যে দেশটি ছাড়তে বলা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাত কাতারের কূটনীতিকদের দেশ ত্যাগে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। মিসর জানায়, সব বন্দরে কাতারের যানবাহন ও আকাশযান প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত এলেও একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল না বিষয়টি। বেশ কয়েক বছর ধরেই কাতারকে নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সম্প্রতি কাতারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সৌদি আরবের সমালোচনা করে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহ আগে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরা নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এর আগে ২০১৪ সালে আরব দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে কাতারের হস্তক্ষেপের কারণে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন সরকার কাতার থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়।