ট্রাম্পের সঙ্গে ফের বিবাদে সাদিক

SHARE

সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও লন্ডনের মেয়র সাদিক খানের মধ্যে আবারও দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। হামলার পর সাদিকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। তাঁর এই সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন সাদিক।

লন্ডন ব্রিজ ও বারা মার্কেটে গত শনিবারের ওই হামলায় সাতজন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

বিবিসির খবরে জানা যায়, গতকাল রোববার ট্রাম্পের অভিযোগ করে বলেন, মেয়র খান লন্ডনের হামলাকে যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেননি। লন্ডনবাসীকে তিনি বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

মেয়র খানের সমর্থকেরা বলেন, ট্রাম্পকে পাল্টা জবাব দেওয়ার চেয়ে মেয়রের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। ট্রাম্প অপ্রাসঙ্গিকভাবে এ মন্তব্য করেছেন।

মেয়র খানের মুখপাত্র আরও বলেন, হামলার পর থেকে মেয়র পুলিশ, জরুরি সংস্থা এবং সরকারের সঙ্গে নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। ভয়ংকর ও কাপুরুষোচিত এই হামলার পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে, লন্ডনবাসীকে আশ্বস্ত করতে এবং শহরে আসা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার রাতের হামলার পর টুইটে ট্রাম্প যুক্তরাজ্যবাসীর পাশে আছেন বলে জানান। সেই সঙ্গে মুসলিমপ্রধান ছয়টি দেশের পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার আহ্বানও জানান।

হামলার পর মেয়র সাদিক খান লন্ডনের রাস্তায় অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান। আরও কয়েক দিন পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন বলেও নিশ্চয়তা দেন। তিনি বলেন, সবাইকে আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে বিশ্বে আমরা নিরাপদ শহরগুলোর মধ্যে একটি।

ট্রাম্প মেয়রের সমালোচনা করে বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ৭ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছেন। আর লন্ডনের মেয়র বলছেন, সতর্ক হওয়ার কোনো কারণ নেই।

ট্রাম্প ও মেয়র সাদিক খানের দ্বন্দ্বের ব্যাপারটি নতুন নয়। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলাকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাব করেন। তবে তিনি এটাও বলেন, লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র হিসেবে খানের ব্যাপারটি ব্যতিক্রম।

খান সে সময় ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা শুধু তাঁর বিষয় নয়। এটি তাঁর বন্ধু, পরিবার এবং বিশ্বে অন্যান্য যারা রয়েছেন তাঁদের সবার বিষয়। সে সময় মেয়র খান আরও অভিযোগ করেন, ট্রাম্প ইসলামের ব্যাপারে অজ্ঞ। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যকে অনিরাপদ করে তুলছেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প খানকে চ্যালেঞ্জ করেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার পরামর্শ দেন। ট্রাম্প বলেন, সাদিক খান তাঁকে চেনেন না, কখনো দেখা হয়নি। তারপরও এত কথা বলায় তিনি হতাশ। তিনি খানের সব বিবৃতি ও বক্তব্য মনে রাখবেন বলেও জানান।