অপবাদ দিয়ে দুজনকে নির্যাতন চেয়ারম্যানের

SHARE

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও চুরির অপবাদ দিয়ে দুই যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার বীর আহাম্মেদপুর কাচারি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

রোববার রাতে ফেসবুকে নির্যাতনের ওই ছবি প্রকাশ পায়। এতে দেখা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন এক যুবককে সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেছন দিক থেকে দুই হাত ধরে টানছেন। সেখানে শাস্তির ধরন নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করে মন্তব্য করেন একাধিক ব্যক্তি।

নির্যাতনের শিকার ওই দুজন হলেন বীর আহাম্মেদপুর গ্রামের রোকন (৩০) ও দীপ্ত (৩০)। নির্যাতনের পর চেয়ারম্যান স্থানীয় ব্যক্তিদের পরামর্শে তাঁদের গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তাই গতকাল সোমবার তাঁরা গ্রামে ছিলেন না। এ কারণে এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন গতকাল মুঠোফোনে বলেন, ‘রোববার ইফতারের আনুমানিক দেড় ঘণ্টা আগে বৈখরহাটি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন রোকন ও দীপ্ত একটি সড়কের পাশে সন্দেহজনকভাবে বসে ছিলেন। স্থানীয় অনেকেই জানান, ওই দুই যুবকের মধ্যে রোকন হেরোইন সেবন করেন, আর দীপ্ত এলাকায় চুরি করেন। আমি ডাক দিলে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করেন। আমিও মোটরসাইকেল নিয়ে ধাওয়া করে তাঁদের আটক করি। পরে দীপ্তকে ৫০ টাকা দিয়ে চুল কাটাতে বলি। তিনি সেলুনে চুল কাটান। এ সময় রোকনের দেহ তল্লাশি করে একটি ধাতব মুদ্রা পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের কথায় আমি রোকনকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে চড়থাপ্পড় দিই। চুরি বা মাদক সেবনের প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়নি।’

স্থানীয় কয়েকজন বলেন, শাস্তির ধরনটি নির্যাতনের পর্যায়ে পড়লেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।

শাস্তির বিষয়টি নির্যাতনের পর্যায়ে পড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে, তাহলে ইচ্ছা করলে ওই দুই যুবক আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।’

এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি দেলোয়ার আহমেদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজের দায়িত্বে ওই শাস্তি দিয়েছেন।’