নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তাই তরুণ প্রজন্মকে তাদের সম্পর্কে আরও বেশি করে জানাতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে সোমবার রাতে জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক জয়শ্রী কুন্ডুর সভাপতিত্বে রবীন্দ্র-নজরুল বিষয়ে আলোচনা করেন ভারতের বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট মথুরানাথ কুন্ডু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ হলের আবাসিক শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম সরকার।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল ইসলাম সম্পর্কে সব ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের জানা দরকার এবং বাংলা সাহিত্যের এই দুই পুরোধা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কেও আরও বেশি করে শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল দুজনই আমাদের নিত্যসঙ্গী। মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের গান মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপনা জুগিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাঙালী সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
মথুরানাথ কুন্ডু বলেন, রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল দুজনই তাদের শিল্প, গান, সুর বা কবিতা দিয়ে আমাদের উজ্জীবিত করেন। বাঙালীর জন্য রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীই সবচেয়ে ভালো উৎসব।
আলোচনা অনুষ্ঠানের পর পূজা সেনগুপ্তের নেতৃত্বে নৃত্য পরিবেশন করে তুরঙ্গমী রেপার্টরী ড্যান্স থিয়েটার, রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন অদিতি মহসিন এবং নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন ড. নাশিদ কামাল।